বাবার মৃত্যুর খবর শুনেও গুহায় উদ্ধার চালিয়ে গেছেন হ্যারি
প্রকাশিত : ১৮:৪২, ১১ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৪৬, ১১ জুলাই ২০১৮
থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে পরা খুদে ফুটবলারদের উদ্ধার অভিযান সম্পন্ন হওয়ার পর দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটে। এই অভিযান নিয়ে দেশ-বিদেশ থেকে আসা উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা আবেগে আপ্লুত হয়েছে! কেননা ‘যমের গুহার’ থেকে ১৩টি প্রাণ সযত্নে বাঁচিয়ে এনেছেন যে উদ্ধারকারী দল। তারাই তো প্রশংসার দাবিদার।
অবশ্যই এ অভিযান ছোট খাটো কোন বিষয় ছিল না,বলতে গেলে মৃত্যুকে হাটের মুঠোয় পুরে অন্যের বিপদে মহৎ মানুষেরই এগিয়ে আসার এক বিরাট দৃষ্টান্ত হয়ে রইলো।
মঙ্গলবার ১৩ জনকে উদ্ধার করার সুখবরটা আসার সঙ্গে সঙ্গে আরও একটি দুঃসংবাদ হ্যারির কাছে এসে পৌঁছায়। সে খবর পাই তার বাবা আর নেই। শোনার পরও এতটুকু বিচলিত হননি তিনি। কেননা তাঁর সামনে যে বিশাল দায়িত্ব, সে দিকেই মূলত ব্যস্ত ছিলেন হ্যারি। ফুটবলারদের বাইরে এনে, তাদের প্রাথমিক চিকিত্সা করে হাসপাতালে পাঠানো এসবের মধ্যেই তিনি বুঁদ হয়ে ছিলেন। একটি বিগত প্রাণের মায়া থেকেও তাঁর কাছে ১৩টি জীবিত প্রাণের প্রতি তাঁর যে দায়বদ্ধতা সেটা একজন মানুষ হিসেবে তাঁর মহানুভবতা ফুটে উঠেছে বিশ্ববাসীর কাছে।
কেভিং জগতে হ্যারি নামেই পরিচিত অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত এই ডাইভার। এসএএএস মেডস্টার যখন হ্যারিকে জানায় থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে থাকা শিশুদের উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে হবে, সব ছুটি বাতিল করে তিনি রাজি হয়ে যান। থাম লুয়াং গুহার বিপদসঙ্কুল পরিবেশ থেকে বাচ্চাদের উদ্ধার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল হ্যারির।
মেডস্টারের কর্ণধার অ্যান্ড্রু পিয়ার্স জানান, ‘এমন খুশির দিনে হ্যারির এই দুঃসংবাদ সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক! গতকাল রাতেই তাঁর বাবা মার যান। তবে, আমাদের অভিযান সফল হওয়ার পরই হ্যারিকে এই দুঃসংবাদ দেওয়া হয়।’
থাইল্যান্ডে চ্যাং রাই এলাকায় অস্ট্রেলিয়ার ২০ জনের একটি দলের সঙ্গে কাজ করছেন রিচার্ড হ্যারি। শেষ তিন দিনের চূড়ান্ত অভিযানে ১৩ জনকেই উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর তাদের চ্যাং রাইয়ের একটি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ হ্যারির এই দুসাহসিকতার অভিযানের প্রশংসা করেন। হ্যারি-সহ গোটা টিমকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের তরফে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানান জুলি।
(সূত্রঃ কলকাতা জি২৪)
কেআই/
আরও পড়ুন