উপজাতি বিদ্রোহীদের সাথে আলোচনায় বসছে মিয়ানমার
প্রকাশিত : ২২:২৫, ১১ জুলাই ২০১৮
মিয়ানমারে সংখ্যালঘু উপজাতিদের সাথে বৈঠকে বসেছে মিয়ানমার সরকার। প্রায় সাত দশকের বৈরি সম্পর্ক এবং সশস্ত্র সংঘাতের সমাপ্তির লক্ষ্যে শেষমেষ বৈঠকে বসলো পক্ষগুলো।
বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সাথে এ বৈঠকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মিয়ানমার নেতা অং সান সু চি এবং দেশটির সেনাবাহিনীর প্রধান মিন অং লাইন। রাজধানী নেপিতো’তে আজ বুধবার শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী এই সম্মেলন। একবিংশ শতাব্দীতে এসে লংখ্যালঘুদের সাথে এটি সরকারের তৃতীয় বৈঠক। এর আগে ২০১৬ সালের আগস্টে এবং ২০১৭ সালের মে’তে আলোচনার টেবিলে বসেছিল পক্ষগুলো।
তবে আগের বৈঠকগুলোতে সন্তোষজনক ফলাফল না আসায় আবারও এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বিগত কয়েক দশক ধরে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীরা আরও বেশি সায়ত্ত্বশাসিত ক্ষমতার জন্য লড়াই করে যাচ্ছে। তবে বর্তমানে সরকারের সাথে তাদের অস্ত্রবিরতি চুক্তি বলবত আছে। কিন্তু কিছু কিছু গোষ্ঠী বিশেষ করে উত্তর অংশের বেশকিছু সংখ্যালঘু দল সরকারের সাথে এখনও সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত আছে।
১৯৪৭ সালে সর্বপ্রথম সংখ্যালঘুদের সাথে সরকারের এই আলোচনা শুরু হয়েছিল। সেসময়ে নামকরণ করা পাংলং কনফারেন্স নামেই চলছে এই আলোচনা সম্মেলন। ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতার দ্বারপ্রান্তে থাকা সেসময়ে ঐ বৈঠকের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন সু চি’র বাবা এবং সেসময়ের বার্মার সামরিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান জেনারেল অং সান।
ঐ সম্মেলনে সংখ্যালঘু গোষ্ঠীদের সাথে জেনারেল অং সান সরকারের চুক্তি হয়েছিল যে, বার্মা পূর্ণ স্বাধীনতা পেলে সংখ্যালঘুরা চাইলে তাদের থেকে আলাদা হতে পারবেন। গঠন করতে পারবেন নিজস্ব রাষ্ট্র। এছাড়াও সংখ্যালঘুদেরকে বেশকিছু বিষয়ে সায়ত্ত্বশাসন দেওয়া হয়েছিল সেই চুক্তিতে।
সেই চুক্তি স্বাক্ষরের কিছু দিন পরেই জেনারেল অং সান আততায়ীর গুলিতে নিহত হলে চুক্তিটি পরবর্তীতে আর কার্যকর হয়নি। সংখ্যালঘুদের পরবর্তী সরকারগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ যে, সরকারগুলো ঐ চুক্তির প্রতিপালন করেনি।
সূত্রঃ আল জাজিরা
//এস এইচ এস//এসি
আরও পড়ুন