ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান
প্রকাশিত : ০৯:১৫, ১৪ জুলাই ২০১৮
ইরানের বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থান নিতে ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেই এই আহ্বান জানান। অন্যদিকে, ন্যাটো সম্মেলনে ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ইরানের উপর আরও অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগ করতে বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বিশেষ করে ইউরোপের দেশগুলোকে লক্ষ্য করে ট্রাম্প বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ ও ‘প্রক্সি’ যুদ্ধে পৃষ্ঠপোষকতা করার কারণে আমাদেরকে অবশ্যই ইরানে অর্থায়ন বন্ধ করতে হবে। পরবর্তীতে ইরান আমাদের কোনো দেশে সন্ত্রাসবাদ, সহিংসতা ও অস্থিরতা উস্কে দেবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই।’
যুক্তরাষ্ট্র অনেক দিন ধরেই ইরানের বিরুদ্ধে আঞ্চলিক যুদ্ধে পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ করে আসছে। বিশেষ করে ইরান সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ ও ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের সহায়তা করে বলে অভিযোগ দেশটির। কিন্তু ইরান বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে সম্পাদিত পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পরে দেশটির ওপর নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেন তিনি।
ইরানের বিরুদ্ধে শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে কয়েক মাস আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরান চুক্তি থেকে একতরফাভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নেন। তখন চুক্তির অংশীদার অন্য পাঁচ দেশ ট্রাম্পের ওই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের মূল লক্ষ্য ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডাইরেক্টর ব্রায়ান হুক বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হলো ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে দেশটির ওপর চাপ আরো বৃদ্ধি করা।’
এদিকে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার জবাবে ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে, যা বিশ্বে তেল সরবরাহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ। ইরানসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে এই পথে তেল আমদানি করে পশ্চিমা দেশগুলো। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র হরমোজ প্রণালী দিয়ে সৌদি আরব ও মিত্র দেশগুলো থেকে তেল আমদানি করে।
সূত্র: আল জাজিরা
এমজে/
আরও পড়ুন