মমি সংরক্ষণ রহস্যের সন্ধান মিলেছে!
প্রকাশিত : ১৩:১৩, ১৫ জুলাই ২০১৮
কয়েক শতাব্দীর প্রাচিন রহস্যে কি এবার যবনিকা পড়তে চলেছে? এবার কি প্রকাশ্যে আসবে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য ঠিক কী ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার হত মিশরে? সম্ভবনা আরও উজ্জ্বল হল। মিশর ও জার্মানির পুরাতাত্ত্বিকরা শনিবার মিশরের মাটির তলায় খোঁজ পেয়েছেন একটি ঘরের। মাটি থেকে প্রায় ৩০ মিটার নীচে অবস্থিত ওই ঘরটিতে মৃতদেহ সংরক্ষণে ব্যবহার করা রাসায়নিক তৈরি হত বলে মনে করা হচ্ছে।
মমি সম্পর্কে আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষত তার সংরক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয় সবচেয়ে বেশি। গবেষকদের অনুমান ব্যবহার হওয়া রাসায়নিক সম্পর্কে জানা গেলে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানেও নতুন দিক উন্মোচিত হবে।
গত এপ্রিল মাসে আয়তক্ষেত্রের মত দেখতে একটি সমাধির খোঁজ মেলে। সেটি প্রায় দুই হাজার বছরের পুরনো। ইতিমধ্যেই এটি থেকে মোট ৩৫টি মামির সন্ধান মিলেছে, আর এবার হয়ত নিরসন হতে চলেছে রাসায়নিক রহস্যের।
নতুন এই আবিস্কারে খুশি সন্ধানকারীরা। তাদের মধ্যে নুতুন উৎসাহেরও সঞ্চার হয়েছে। মিশরের দলটির প্রধান রামদান বাদ্রি হুসেনও জানিয়েছেন সে কথাই। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে এই সমাধির মধ্যে মমির জন্য প্রয়োজন এমন প্রায় সব কিছুরই খোঁজ মিলেছে। তাছাড়া পাওয়া গেছে একটি রুপালি রংয়ের মুখোশ। বিষয়টি যে সব দিক থেকে বিশেষ তা মেনে নিচ্ছেন সবাই। খোদ পুরাতত্ব বিষয়ক মন্ত্রী খালিদ আল আনানি সাংবাদিকদের বলেছেন, এর আগে মাত্র একবার এরকম মুখোশ মিলেছে।
বছর সাতেক আগে মিশরে রাজনৈতিক আস্থিরতা তৈরি হয়। দিনের পর দিন চলে অচলাবস্থা। আশান্তির ভয়ে মুখ ফেরাতে শুরু করেন পর্যটকরা। টান পড়ে কোষাগারে। বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে ক্রমশ পিছাতে থাকে মিশর। আর তারপর থেকেই জোর দেওয়া হয়েছে অনুসন্ধানে। ফিরতে শুরু করেছেন পর্যটকরাও। মিশর সরকারের আশা নতুন নতুন অনুসন্ধান আরও বেশি করে পর্যটকদের টেনে আনবে পিরামিডের দেশে।
সূত্র: এনডিটিভি
একে//
আরও পড়ুন