ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বিবিসির বিশ্লেষণ

ট্রাম্প-পুতিন বৈঠকে যা থাকছে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৬, ১৬ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৪:৩৯, ১৬ জুলাই ২০১৮

ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে আজ সোমবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিনের মধ্যেকার বৈঠক। এ দুটি পরাশক্তিসম্পন্ন রাষ্ট্রের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক উপলক্ষে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, এ বৈঠক থেকে বড় কিছু আশা করছেন না তিনি। কিন্তু তিনি আবার বলেছেন, এ বৈঠক থেকে ভালো কিছু হতেও পারে।

২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে উত্তেজনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন শীর্ষ রাজনীতিক ট্রাম্প-পুতিন শীর্ষ বৈঠক বাতিলের দাবি জানানো সত্ত্বেও এ বৈঠক হতে যাচ্ছে। কারণ রাশিয়া এ অভিযোগ অস্বীকার করছে। তারা বলছে, দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য আলোচনা আবশ্যক।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, এই ইস্যুটির উপর জোর দেওয়া হবে। কিন্তু এ বৈঠকে আনুষ্ঠানিক কোনও এজেন্ডা নেই।

ট্রাম্প ও পুতিনের এ বৈঠক কতটুকু সফল হবে তা নিয়ে সংশয় আছে। তবে দুই নেতার বৈঠকে সম্ভাব্য কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে। এগুলো হলো অস্ত্র প্রতিযোগিতা, নিষেধাজ্ঞা থেকে স্বস্তিত, সিরিয়া নিয়ে চুক্তি, কূটনৈতিক পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ। এ ছাড়াও থাকতে পারে অস্ত্রনিরোধ, ন্যাটো বিষয়ক আলোচনা, ইরানের পারমাণবিক ইস্যু, উত্তর কোরিয়া, নার্ভাস এজেন্ট গ্যাস এবং বাণিজ্য যুদ্ধ।

ট্রাম্প এবং পুতিন পরমাণু অস্ত্র নিয়ে প্রায়ই বেশ আক্রমণাত্মক বক্তব্য দেন। এর ফলে দেশ দুটোর মধ্যে নতুন করে অস্ত্র প্রতিযোগিতার আশঙ্কা শুরু হচ্ছে। এ বিষয়ে কথা হতে পারে দুই নেতার

ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলটি ২০১৪ সালে দখল করে নেয় রাশিয়া। এরপর মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। এ ছাড়া ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়েও দুই দেশের টানাপোড়েন রয়েছে।

সিরিয়া যুদ্ধের ফলে ওই অঞ্চলে ইরানের সামরিক উপস্থিতি বাড়ছে। ইসরায়েলের সীমান্তের কাছাকাছি ইরানের উপস্থিতি দেশটির জন্য আশঙ্কার। আর বর্তমানে রাশিয়া সিরিয়া যুদ্ধের সবচেয়ে প্রভাবশালী খেলোয়াড়। ফলে সিরিয়া পরিস্থিতি আলোচনায় প্রাধান্য পেতে পারে।

মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ এবং যুক্তরাজ্যে সাবেক রুশ গুপ্তচরকে রাসায়নিক প্রয়োগের ঘটনায় ওয়াশিংটন ও মস্কো দুই দফায় পাল্টাপাল্টিভাবে কূটনীতিকদের বহিষ্কার করেছে। কূটনৈতিক এই বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যাপারে এই সম্মেলনে দুই নেতা উদ্যোগী হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকে ঘোষণা করা হয় ট্রাম্প-পুতিনের এ সম্মেলন হচ্ছে ফিনল্যান্ডের রাজধানীতে। এর আগে ১৯৯৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিনের মধ্যে এ ধরনের বৈঠক হয়েছিল।

সূত্র: বিবিসি

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি