মিয়ানমারে আটক সাংবাদিকদের আদালতে জবানবন্দী শুরু
প্রকাশিত : ২০:৪০, ১৬ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ২০:৪১, ১৬ জুলাই ২০১৮
মিয়ানমারের কারাগারে আটক দুই সাংবাদিক আজ সোমবার ও আগামীকাল মঙ্গলবার আদালতে জবানবন্দী দেবেন। আজই জবানবন্দী দেওয়ার কথা রয়েছে ৩২ বছর বয়সী সাংবাদিক ওয়া লোন। আর আগামীকাল জবানবন্দী রেকর্ড হতে পারে ২৮ বছর বয়সী সাংবাদিক কিয়াও সো ও এর।
ইতিমধ্যে ইয়াংগুনের ইনসেইন আদালতে ওয়া লোন’কে নেওয়া হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে রয়টার্স। এসময় লোন এর স্ত্রী পেন এই মোন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এই দুই সাংবাদিক বিগত প্রায় ছয় মাস যাবত দেশটির কারাগারে বন্দী আছেন। গত সপ্তাহে এদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আমলের এক আইন ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ এর আওতায় অভিযোগ গঠন করা হয়। রাষ্ট্রীয় গোপন নথি সংগ্রহ করেছেন এমন এক অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল এই দুই সাংবাদিকদের।
মামলার রায়ে দোষী সাব্যস্ত হলে ১৪ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড হতে পারে সাংবাদিকদের।
ওয়া লোন আর কিয়াও-কে এমন সময়ে গ্রেফতার করা হচ্ছিল যখন তারা দেশটির সেনাবাহিনীর হাতে ১০ রোহিঙ্গা মুসলিম নাগরিকের হত্যার এক প্রতিবেদন নিয়ে কাজ করছিলেন।
জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর বিবৃতি মতে, সেসময় রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। গত বছরের আগস্ট থেকে শুরু হওয়া ঐ সহিংসতায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন প্রায় ৭ লক্ষ রোহিঙ্গা।
এদিকে সাংবাদিকদের আটক ও বিচারের ঘটনাকে ‘গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য হুমকি’ হিসেবে দেখছে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো। আটক সাংবাদিকদের মুক্ত করতে বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সংগঠনের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে মিয়ানমার সরকারের প্রতি। তবে সেসব কিছুতে সাড়া দেয়নি দেশটি।
এদিকে বিচার সম্পর্কে গতকাল রবিবার পর্যন্ত কোন ধরণের মন্তব্য করতে রাজি হননি মিয়ানমার সরকারের মুখপাত্র জো তাই। তবে তিনি বলেন যে, এই বিচারে সরকার কোন ধরণের হস্তক্ষেপ করবে না। দেশটির বিচার বিভাগ ‘স্বাধীন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইন তার নিয়ম অনুযায়ী চলবে।
আটক সাংবাদিকদের দাবি, ইয়াংগুনের এক রেস্টুরেন্টে দুই পুলিশ সদস্য এসে তাদেরকে দুইটি কাগজ দেন। কাগজগুলো পড়ার কথা বলেন পুলিশেরা। তারা কাগজ খোলা মাত্রই তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। ঐ দুই পুলিশ সদস্যকে আগে থেকে চিনতেন না বলেও দাবি সাংবাদিকদের।
সূত্রঃ রয়টার্স
//এস এইচ এস//এসি
আরও পড়ুন