তুরস্কে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার
প্রকাশিত : ১০:২৬, ১৯ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১০:২৬, ১৯ জুলাই ২০১৮
দীর্ঘ দুই বছর পর রাষ্ট্রীয় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। ২০১৬ সালে এক ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর তুর্কী প্রেসিডেন্ট এরদোগান অনির্দিষ্টকালের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন।
জরুরি অবস্থা চলাকালে শতশত সরকারি কর্মকর্তাকে বহিষ্কার করে তুর্কী সরকার। রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান নতুন পদ্ধতির নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের এ ঘোষণা দেন।
এদিকে নির্বাচনী প্রচারণাকালে বিরোধীদলীয় নেতারা ঘোষণা করেন, নির্বাচনে জয়ী হলে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হবে। তবে জরুরি অবস্থাকেও হাতিয়ার বানিয়ে নির্বাচনী বৈতরণি পার হতে পারেনি বিরোধীরা।
এরইমধ্যে গত দুবছরে ১ লাখ ৭ হাজার সরকারি কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যূত করেন এরদোগান। শুধু তাই নয়, এখন পর্যন্ত ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আনা মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে।
২০১৬ সালে সংসদ ভবন লক্ষ্য করে সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২৫০ জন নিহত হন। তখনই এরদোগানকে গৃহবন্দি করার ঘোষণা দেয় সামরিক বাহিনীর কতিপয় সদস্য। এর কয়েক ঘণ্টা পরই এরদোগান ফেসবুক লাইভে তার সমর্থকদের রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান। এরদোগানের ডাকে লাখ লাখ সমর্থক রাজপথে নেমে আসে। এতে সামরিক বাহিনী পালাতে বাধ্য হয়। এরপরই ফের ক্ষমতার মসনদে বসেন এরদোগান। জারি করেন জরুরি অবস্থা। ওই অবস্থার জন্য দেশটির বিতর্কিত নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে দায়ী করা হয়ে থাকে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমজে/
আরও পড়ুন