পাকিস্তানে নির্বাচন: পীরদের দৌরাত্ম্য
প্রকাশিত : ১০:৪৬, ২৪ জুলাই ২০১৮
আগামীকাল পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। গতকালই শেষ হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা। এতে শেষদিনে অন্যদের মতো পীররাও নেমেছেন রাজনীতির মাঠে। পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাচ্ছেন তারা। ধর্মীয় গোঁড়ামিকে পুঁজি করে তারা ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করছেন। এমনিতে দেশটির ১৬ শতাংশ আসন রয়েছে পীরদের দখলে।
এদিকে পীরদের সমর্থনের দিক থেকে এগিয়ে রয়েছেন ইমরান খান ও তার দল তেহরিক-ই-ইনসাফ। সেখানে অংশ নেয়া প্রভাবশালী গোরা শরীফ দরবারের পীর ঘোষণা করেন যেন, তার অনুসারীরা সবাই ইমরান খানের দলকে সমর্থন করে। এই ঘোষণার বিষয়ে তার একজন মুরিদ বলছেন, ``আমার যারা এখানে আছি, আমরা পীর সাহেবের গোলাম। তার আদেশ যাই হোক না কেন, আমরা আনন্দের সঙ্গে তা মেনে নেবো। সেটি ঠিক না ভুল, তা নিয়ে আমরা বিতর্কে যাবো না। তিনি যা বলবেন, আমরা তাই করবো।``
এদিকে এক জনসভায় ইমরান খান ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি পাকিস্তানকে একটি ইসলামিক কল্যাণ রাষ্ট্র বানাতে চান। এর আগের ক্ষমতাসীন দল পিএমএল (এন) পার্টিও অতীতে এই ধর্মীয় গোষ্ঠীর বেশিরভাগ সমর্থন পেয়েছিল। কিন্তু এখন মি. খান সেই সমর্থন আদায় করে নিয়েছেন। এর কারণ ব্যাখ্যা করছিলেন ইমরান খানের দলের একজন নেতা শিবলি ফারাজ।
মি. ফারাজ বলছেন, ``এটা একটি ধর্মপ্রাণ সমাজ, সুতরাং আমরা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রের মানুষের কাজে যাবার চেষ্টা করছি। পীররা আমাদের সমাজে এখনো অত্যন্ত প্রভাবশালী ব্যক্তি, তারা অনেক ভোট সংগ্রহ করতে পারেন। তাদের ভক্তদের ওপর তাদের অনেক প্রভাব রয়েছে। আর এটাই পাকিস্তানী রাজনীতির বাস্তবতা।``
তবে তিনিও মনে করেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে একদিন এসব আধ্যাত্মিকতা বাদ দিয়ে প্রার্থীদের যোগ্যতার বিষয়টি ভোটারদের কাছে প্রাধান্য পাবে। শিক্ষা, সচেতনতা আর ইন্টারনেট ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পীরদের প্রভাব এখন অনেক চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে।তবে এখনো পীররা পাকিস্তানের আধ্যাত্মিকতা আর রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবেই রয়েছেন।
এমজে/
আরও পড়ুন