ঢাকা, সোমবার   ০৭ অক্টোবর ২০২৪

প্রাচীণকাল থেকে টিকে থাকা পাঁচ শহর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩০, ২৪ জুলাই ২০১৮

আমাদের পৃথিবীতে এমনকিছু শহর আছে যা প্রাচীণ আমল থেকে টিকে আছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ বা মানুষে মানুষে যুদ্ধের পরেও সম্পূর্ণ বা আংশিক অবস্থায় টিকে আছে এসব শহর এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। এমন ৫টি প্রাচীণ শহর নিয়ে থাকছে এবারের আয়োজন।

১) অ্যাংকর ওয়াট, কম্বোডিয়া

দ্বাদশ শতাব্দীতে খেমার’রা পৃথিবী সম্পর্কে তাদের যে জ্ঞান তা কাজে লাগিয়ে বিশেষ এক নগর তৈরি করে। সেটিই হলো কম্বোডিয়ার অ্যাংকর ওয়াট। শহরটিকে ঘিরে বানানো হয় পরিখা, আর শহরের মাঝে আছে অসংখ্য বড় বড় টাওয়ার। হিন্দু ধর্মের নানান বৈশিষ্ট্য নিয়ে সাজানো হয় শহরটি।

২) রোম, ইতালি

গ্ল্যাডিয়েটর যোদ্ধাদের শহর রোম। ইতিহাসের পরতে পরতে আছে ইতালি আর রোমের নাম। ঐতিহাসিক নানান নির্দশনে একদম ঢাসা এই শহরটি। শহরের একদম মাঝখানে আছে দুই হাজার বছরের পুরনো স্টেডিয়াম কলোসিয়াম। প্রায় ৫০ হাজার দর্শকের সামনে এখানেই একসময় যোদ্ধাদের মধ্যে রক্তযুদ্ধ সংঘটিত হতো।

৩) ইস্তাম্বুল, তুর্কি

তুরস্ককে বলা হয় ইউরোপ আর এশিয়ার সংযোগস্থল। আর তুর্কির ইস্তাম্বুল শহরটিই এক সঙ্গে দুই মহাদেশে অবস্থান করে। এই শহরের অলিতে গলিতে আর প্রতিটি পরতে ইতিহাসের নানান সাক্ষী আজও পাওয়া যায়। বাইজেন্টাইন থেকে অটোম্যান সাম্রাজ্যের শাসনের বিভিন্ন উপাদান বয়ে বেড়াচ্ছে শহরটি।

বাইজেন্টাইন শহরের হিপ্পোড্রোম সার্কাস এবং অটোম্যান সাম্রাজ্যের টপকাপি প্যালেস পরিদর্শনে ভিড় জমায় লাখো পর্যটক।

৪) বাগান, মিয়ানমার

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কারণে অনেকদিনই লোকচক্ষুর আড়ালে ছিলো মিয়ানমারের বাগান শহর। শহরটির কোল ঘেঁষে বয়ে চলা ইরাওয়াদি নদীর তীর ধরে দুই হাজারের ওপরে বৌদ্ধ মন্দির আছে এখানে। একাদশ শতাব্দীর দিকে নির্মিত এসব মন্দির এখনও আকর্ষণ করছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের। তবে ভূমিকম্প এবং কুবলাই খানের আক্রমণে মন্দিরগুলোর বেশ ক্ষতিসাধন হয়।

৫) নিমরুদ, ইরাক

পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম সাম্রাজ্য হিসেবে নিমরুদ সাম্রাজ্যকে ধরা হয়। অ্যাসিরিয়া শাসনে নিমরুদের রাজধানী ছিলো ইরাকের এই শহরটি। নিজ নামেই গোড়াপত্তন করেন নিমরুদ শহরের। ১৮৪০ থেকে শুরু হওয়া খনন কাজের মাধ্যমে শহরটির বিভিন্ন দিক আস্তে আস্তে সামনে আসতে থাকে।

বিশাল বিশাল দালান ইমারত আর মন্দিরের সন্ধান পাওয়া যায় এখানে। আর এসবের মাঝে পাওয়া যায় আইভরি ফার্নিচার, মূল্যবান পাথর এবং সোনাদানা। তবে ঐতিহাসিকভাবে ব্যাপক গুরুত্ব বহন করা এই শহরটি ২০১৬ সালে বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

জঙ্গি সংগঠন আইএস ইরাকের মসুল দখল করে নিলে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয় এখানকার বেশকিছু স্থাপনা। তবে সেগুলোকে আবার নতুন করে সংস্কারের কাজ করা হচ্ছে।

সূত্র: সিএনএন

//এস এইচ এস// এসএইচ/

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি