সিরিয়ায় ৭ হাজার শিশুর মৃত্যুর প্রমাণ পেয়েছে জাতিসংঘ
প্রকাশিত : ২৩:৫৪, ২৮ জুলাই ২০১৮
সিরিয়ায় অন্তত সাত হাজার শিশুর হতাহতের সত্যতা পেয়েছে জাতিসংঘ। হতাহত এসব শিশুদের মধ্যে নিহত এবং পঙ্গু হয়েছে এমন শিশুরাও আছে। তবে জাতিসংঘের বাইরে অনানুষ্ঠানিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সংখ্যা অন্তত ২০ হাজার।
গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এসময় নিরাপত্তা পরিষদে শিশু এবং সশস্ত্র সংঘাতবিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি ভার্জিনিয়া গ্যাম্বা বলেন, “এই সংঘাতের মধ্যে যেসব শিশু জন্ম নিচ্ছে এবং বেড়ে উঠছে তাদের বিষয়ে আমি সত্যি উদ্বিগ্ন। এই শিশুগুলো কখনও ‘শান্তি’ দেখেনি। এসব শিশুরা তাদের বাসায়, সমাজে, স্কুলে, বন্দী শিবিরে ক্রমাগতভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আমাদের বুঝতে হবে যে, এসব শিশুরা বিভিন্ন মানসিক বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ‘শান্তি’ শব্দটির অর্থ তারা জানে না।”
২০১৪ সালে জাতিসংঘ জানায়, সিরিয়ায় হতাহতের হিসেব নেওয়া তারা বন্ধ করে দেয়। কারণ সিরিয়ায় জাতিসংঘের সীমিত কাজের সুযোগ থাকায় নিজেদের তথ্যের ওপর ভরসা রাখতে পারছিল না সংস্থাটি। তাই বিভিন্ন তৃতীয় পক্ষ সংস্থার প্রতিবেদন থেকেই তথ্য সংগ্রহ করতো জাতিসংঘ।
তবে ২০১৩ থেকে দেশটিতে ঠিকই কাজ করে যাচ্ছিল জাতিসংঘ মনিটরিং অ্যান্ড রিপোর্টিং মেকানিজম (এমআরএম)। গাম্বা বলেন, “যুদ্ধ শুরুর পর থেকে প্রতি বছর সিরিয়ায় মৃত এবং হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে”।
গাম্বা জানান, ছয়টি ঘটনা থেকে এই সাত হাজার শিশুর হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে জাতিসংঘ। এদের মধ্যে বেশিরভাগ শিশুই নিহত হয়েছে সিরিয়ার সরকারি অথবা সরকার সমর্থিত বাহিনীর হামলায়।
শিশুদের হতাহতের পাশাপাশি বিভিন্ন দল কর্তৃক শিশুদের অপহরণের ঘটনায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ। যুদ্ধের বিভিন্ন গোষ্ঠী বা দল নিজেদের দল ভারী করার জন্য এসব শিশুদের অপহরণ করে এবং পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধে নামিয়ে দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত বছরের যুদ্ধে শুধু ২০১৮ সালেই একক বছরে সবথেকে বেশি শিশু অপহরণের ঘটনা ঘটে। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৩০০ শিশু অপহৃত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রতিবেদনে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন।
আরও পড়ুন