ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৮ অক্টোবর ২০২৪

ছেলের মৃত্যু ভুলতে রাস্তার গর্ত সারাচ্ছেন বাবা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৩, ৩১ জুলাই ২০১৮ | আপডেট: ১৯:৩৫, ৩১ জুলাই ২০১৮

ছেলেকে হারিয়েছেন প্রায় ৩ বছর৷ রাস্তার খানা খন্দে পড়ে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল তাঁর ১৬ বছরের ছেলের৷ এভাবে রাস্তার বেহাল দশার জন্য যেন আর কোনও সন্তানকে এভাবে চলে যেতে না হয়, তাই হাল ধরলেন বাবা স্বয়ং৷

২০১৫ সালের ২৮শে জুলাই৷ মুম্বইয়ে তখন ভরাবর্ষা৷ আর বেহাল অবস্থা রাস্তার৷ যোগেশ্বরী- ভিখরোলী লিঙ্ক রোডে বর্ষার জল জমে থাকা একটি গর্তে আটকে যায় বাইকের চাকা। আর তাতেই প্রাণ চলে যায় প্রকাশের।
সেই শোক ভোলার নয়৷ কিন্তু গোটা শহরেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এরকম অনেক গর্ত। তাই কাজে লেগে পড়েন ছেলে হারানো বাবা দাদারাও ভিলহোরে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি জানান, তাঁর ছেলের মতো অন্য কারও প্রাণ চলে যাক তিনি সেটা চান না।

তাই যতদিন না এই সব মারণ রাস্তা গর্ত মুক্ত হবে ততদিন শহরের রাস্তার গর্ত ভরাট করার কাজ করে যাবেন দাদারাও। এমনই শপথ তাঁর৷ দেখতে দেখতে ৫৫৬ তম গর্ত বুঝিয়ে ফেললেন রবিবার।এই কাজ তিনি কাজ চালিয়ে যাবেন। শুধু তিনি নন এই কাজে বাকিদেরও এগিয়ে আসার আহ্বানও জানিয়েছেন দাদারাও। তিনি মনে করেন মাত্র এক লক্ষ মানুষ যদি গর্ত ভরাট করার দায়িত্ব নেন, খু তাড়াতাড়ি গোটা দেশের রাস্তা গর্তমুক্ত হবে।

মুম্বই মেট্রোপলিটন রিজিয়ন ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা এমএমআরডিএ এবং বৃহন্মুবই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন একে অপরের ওপর দায় চাপাচ্ছে৷ ফলে থমকে আছে একের পর এক রাস্তার মেরামতির কাজ৷ যার ফল ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে৷ কখনও কখনও গুণতে হচ্ছে প্রাণের মাসুল৷

দাদরাওয়ের কথায়, যদি সাধারণ মানুষই এগিয়ে আসেন, তাহলে হয়ত চোখ খুলবে কর্তৃপক্ষে৷ চক্ষুলজ্জার খাতিরেই এগিয়ে আসবে তাঁরা৷ এই বর্ষায় প্রায় ৬ জন মানুষের প্রাণ গিয়েছে রাস্তার গর্তের কারণে৷ এই পরিস্থিতির প্রতিবাদ করে এই মাসের শুরুর দিকে প্রতিবাদ বিক্ষোভে নেমেছিল মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি