দলকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টায় শাহবাজ
প্রকাশিত : ০২:৫৭, ২ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১০:১১, ২ আগস্ট ২০১৮
সদ্য ক্ষমতাচ্যুত দল পিএমএল-এন’কে অবিচ্ছিন্নভাবে টিকিয়ে রাখতে চেষ্টা করে যাছেন দলের সভাপতি শাহবাজ শরিফ। দলের প্রতিষ্ঠাতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কাছ থেকে দায়িত্ব পাওয়ার পর ভাঙ্গনের হাত থেকে দল রক্ষা করাই এখন মূল দায়িত্ব হয়ে দাড়িয়েছে শাহবাজের সামনে।
পাঞ্জাবের প্রাদেশিক নির্বাচনে ১২৯টি আসন পায় পিএমএল-এন। নির্বাচিত প্রতিদ্বন্দ্বীদের নিয়ে আজ এক বৈঠকে বসেন শাহবাজ। প্রদেশের মডেল টাউনে অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঐ বৈঠকে অন্তত ১২১ জন সদ্য নির্বাচিত প্রতিনিধি অংশ নেন।
বৈঠকে শাহবাজ শরিফ বলেন, “এটা একটা কঠিন মুহুর্ত আর আমি চাই আমরা সবাই যেন একত্রে থাকি। একসাথে এই বিপদ মোকাবেলা করব”। তিনি আরও বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্যে শুধু সরকার গঠন না। বরং জনগণের সেবা করা। তবুও পাঞ্জাবে সরকার গঠনের জন্য আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। আর নয়তো বিরোধী দলে থেকেই শক্ত ভূমিকায় কাজ করে যাব আমরা”।
এদিকে বৈঠকের পর দলের নেতা হামজা শাহবাজ সাংবাদিকদের বলেন, “শাহবাজ শরিফ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধীদলের নেতা হিসেবে শক্ত ভূমিকা নেবেন”। শাহবাজ শরিফ কেন্দ্রীয় সংসদে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা হবেন বলেও ইঙ্গিত দেন হামজা।
পাশাপাশি পাঞ্জাবে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে হামজা ও সাদ রফিকের নাম শোনা যাচ্ছে। নব্য নির্বাচিত পাঞ্জাবের বেশিরভাগ সাংসদ বিরোধীদলের নেতা হিসেবে হামজার নাম নিচ্ছেন। দলের এক সূত্র দেশটির প্রভাবশালী দৈনিক ডন’কে জানায়, “ধারণা করা হচ্ছে, পিএমএল-এন শেষ পর্যন্ত বিরোধী দল হিসেবে পাঞ্জাবের সংসদে বসবে। কারণ স্বতন্ত্র নির্বাচিত একজন সাংসদও এখন পর্যন্ত পিএমএল-এন এ যোগ দেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি। এই কারণেই পিএমএল-এন এর মধ্যে থেকে বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচনের কথা উঠেছে”।
দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, স্বতন্ত্র নির্বাচিত প্রার্থীদের গোপনে ইমরান খানের বানিগালা বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সেখানে পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের দল পিটিআই’তে তাদেরকে জোর করে যোগদান করানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, পাঞ্জাবে এককভাবে প্রাদেশিক সরকার গঠনে ২৯৭টি সরাসরি নির্বাচিত আসনে কমপক্ষে ১৪৯টি আসন পেতে হবে কোন দলকে। তবে গত ২৫ জুলাই এর নির্বাচনে কোন দলই এই পরিমাণ আসন না পাওয়ায় শেষ পর্যন্ত যার জোট মজবুত থাকবে সেই সরকার গঠন করবে।
এবারের নির্বাচনে পাঞ্জাব থেকে ১২৯টি আসন পেয়েছে পিএমএল-এন, ১২৩টি আসন পেয়েছে পিটিআই। আটটি ও ছয়টি আসন পেয়েছে যথাক্রমে পিএমএল-কি এবং পিপিপি। আর স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ২৮ জন প্রার্থী।
সূত্রঃ ডন
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন