ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

আদভানি-বাজপেয়ী একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:৫৪, ১৯ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১১:৩৩, ১৯ আগস্ট ২০১৮

ভারতীয় রাজনীতির সবচেয়ে সফল অ-কংগ্রেসি মুখ। রাষ্ট্রীয় স্তরে জোট রাজনীতির পিতামহ ভীষ্ম। দলের জন্ম থেকে ক্ষমতার অলিন্দে পা রাখার কাণ্ডারি। এভাবেই অটল বিহারি বাজপেয়ীকে মনে রাখবে ইতিহাস।

আরও একটা পরিচয় অবশ্য আছে এই প্রবাদ প্রতিম বিজেপি নেতার। সমালোচকদের মতে সেটাই বাজপেয়ীর একমাত্র পরিচয়। সংঘের প্রচারক, হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রাণপুরুষ। অন্যদিকে, হিন্দুত্বের পোস্টার বয় হিসেবে বারবার সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে আদভানিকে।

অথচ, শুরু থেকে শেষ, সংঘের অ্যাজেন্ডা থেকে একবারের জন্যও সরেননি বাজপেয়ী। কিন্তু হিন্দুবাদী তকমায় কেউ তাকে বিঁধতে পারেনি। সমালোচকদের মতে আদভানি এবং বাজপেয়ী একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একজন মুখ, অন্য জন মুখোশ। বিরোধী শিবিরের কেউ নন। প্রাক্তন সংঘ নেতা গোবিন্দাচার্যই বাজপেয়ী সম্পর্কে এমনটা বলেছিলেন। যা নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি।

গুজরাট হিংসার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে প্রকাশ্যে রাজধর্মের শিক্ষা দেওয়া, বাজপেয়ীর গ্রহণযোগ্যতাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। সাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে বিন্দুমাত্র আপোষে যে তিনি রাজি নন, এই বার্তা ছড়িয়ে যায় গোটা দেশে। যদিও ইতিহাস বলে, বন্ধ ঘরে অন্য কথাই বলেছিলেন অটলবিহারি বাজপেয়ী। দু-হাজার দুইয়ে গোধরা পরবর্তী হিংসার পর গোয়ায় বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক বসে। সেখানে তার বক্তব্য কিন্তু এই মুখ-মুখোশের বিতর্ককেই সামনে এনে দেয়। কী বলেছিলেন বাজপেয়ী!

যদি সবরমতী এক্সপ্রেসের নিরীহ যাত্রীদের পুড়িয়ে মারার ষড়যন্ত্র না হতো, তাহলে হয়তো তার পরের ঘটনাগুলোও ঘটত না। গুজরাটের ঘটনার শুরু কোথায় তা ভুললে চলবে না। পরে যা হয়েছে তা অবশ্যই নিন্দনীয়, কিন্তু প্রথমে আগুন কে লাগিয়েছিল?

বাবরিকাণ্ডে আডবাণীদের বিরুদ্ধে এখনও মামলা চলছে। অটলবিহারী বাজপেয়ী কিন্তু সুকৌশলে সেই বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পেরেছিলেন। বিরানব্বইয়ের ছয়ই ডিসেম্বর তিনি অযোধ্যাতেই থাকেননি। আগের দিন লখনউয়ে অবশ্য রামমন্দির ইস্যুতে তার এই বক্তব্য, সেই মুখ-মুখোশের তত্ত্বকেই সামনে এনে দেয়। 

সমালোচকরা তাই বলেন আরএসএসের বীজমন্ত্রই সারাজীবন জপে এসেছেন বাজপেয়ী। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে সেই হিন্দুবাদী রাষ্ট্রদর্শনকেই সার্বজনীন রূপ দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন, নিজের ইমেজকে এতটুকুও কালিমালিপ্ত না করে।

সূত্র: জিনিউজ

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি