ইরানের প্রতিরক্ষা খাতে যোগ হচ্ছে যুদ্ধ বিমান
প্রকাশিত : ১৬:৩৯, ১৯ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৭:০৭, ১৯ আগস্ট ২০১৮
ইরানকে যতই ক্ষেপনাস্ত্র অর্জন থেকে দূরে রাখতে চাইছে যুক্তরাষ্ট্র, দেশটি ততই ক্ষেপনাস্ত্র অর্জনের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে। আঞ্চলিক প্রভাব আরও বাড়াতে আগামী সপ্তাহেই দেশটি নতুন একটি যুদ্ধ বিমান বহরে যোগ করতে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রতিরক্ষা খাতে ক্ষেপনাস্ত্র অর্জনকে প্রাধান্য দেওয়া অব্যাহত রেখেছে দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগ। এমনটিই জানিয়েছেন তেহরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনালের আমির হাশমি।
এদিকে ইরানের নৌ বাহিনী গত শনিবার জানিয়েছে, তার যুদ্ধ জাহাজে নতুন একটি আঞ্চলিক অস্ত্র যোগ করেছে, যা দিয়েছে যে কোনো হামলা মোকাবেলা করা সম্ভব। ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় তেহরান তার যুদ্ধজাহাজে প্রতিরক্ষা অস্ত্রটি যোগ করেছে বলে জানিয়েছে নৌ সেনারা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরান চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছে। এরপরই ওয়াশিংটন তেহরানের ওপর নজিরবিহীন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। তেহরান গোপনে তার পারমাণবিক ক্ষেপনাস্ত্র অর্জনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে, এমন অভিযোগে দেশটির ওপর আগের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এতে দুই রাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। ইরান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে কোনো ধরণের আলোচনা করতে সম্মত নয়। ট্রাম্প চাইলেও ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়তুল্লাহ রুহুল্লাহ আল খোমেনি ও দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকা অবস্থায় তাদের সঙ্গে কোনো ধরণের আলোচনা নয়।
আমির হাশমি বলেন, আমাদের প্রথম লক্ষ্য-ই হলো ক্ষেপনাস্ত্র অর্জন করা। আমরা এ খাতে অনেক অগ্রসর হয়েছি, কিন্তু আমাদের আরও অগ্রগতি প্রয়োজন। আগামী প্রতিরক্ষা দিবসের দিনে নতুন একটি পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে। দেশের জনগণ ওইদিন দেখবে আমরা এটা (ক্ষেপনাস্ত্র) আকাশে উড়ছে।
সূত্র:রয়টার্স
এমজে/
আরও পড়ুন