ইমরানের মন্ত্রীসভার ১৭ সদস্যের শপথগ্রহণ
প্রকাশিত : ১৭:২৯, ২০ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৪১, ২০ আগস্ট ২০১৮
পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মন্ত্রীসভার ১৬ সদস্য শপথবাক্য পাঠ করেছেন। আজ সোমবার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে তাদের শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মামুন হোসাইন। এসময় প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান রাষ্ট্রপতির পাশেই অবস্থান করছিলেন।
পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর গাওয়া হয় দেশটির জাতীয় সঙ্গীত। এরপরই তাদের শপথগ্রহণ শুরু হয়। মন্ত্রীগণ ছাড়াও এসময় শপথগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ৫ উপদেষ্টা।
নতুন মন্ত্রীসভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের ভাইস-প্রেসিডেন্ট মাকদুম শাহকে। এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তান পিপলস পার্টির মন্ত্রীসভায় পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই সময় মন্ত্রীসভায় ব্যাপক রদবদল আনলে দল ত্যাগ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাড়িয়েছিলেন তিনি। এদিকে সামরিক শাসনামলে তিনি পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানা গেছে।
এদিকে পিটিআইয়ের আরেক নেতা আসাদ ওমারকে অর্থমন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পিটিআই’র তথ্য সচিব ফাওয়াদ চৌধুরীকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিও সাবেক সেনা শাসক পারভেজ মুশারফ সরকারের দল অল পাকিস্তান মুসলিম লিগের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পিটিআইয়ে যোগ দেওয়ার পূর্বে আসাদ ওমার বিলাওয়াল ভূট্টোর মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
এদিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে খাইবার পাকতুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পারভেজ খাত্তাককে। এ ছাড়া মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিটিআইয়ের আরেক নেত্রী ড. শিরীন মাজারিকে। শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিটিআইয়ের তথ্য সচিব শাফাখাত মেহমুদকে। শাফাখাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। ১৯৯৯ সালে মুসলীম লীগ- নওয়াজ দলের প্রার্থী হিসেবে পাঞ্জাবে তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এদিকে সেনাশাসক মোশারফের আমলের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাকদুম খসরুকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পিটিআই নেতা আমি মেহমুদকে, আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্টের নেতা ফারুক নাসিমকে। নাসিম ছাড়াও জোটের অন্য দলগুলো থেকে আরও বেশ কয়েকজন মন্ত্রী বেছে নেন ইমরান খান। তাদের মধ্যে পিএমএল-কিউ এর নেতা বশির চীমা (অঙ্গরাজ্য-সমূহের দায়িত্ব), বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টির নেতা জুবাইদা জালাল (প্রতিরক্ষা উৎপাদন), আওয়ামী মুসলিম লিগের প্রধান শেখ রশিদ আহমেদ (রেলওয়ে), এমকিউএম-পি’র নেতা খালিদ মকবুল সিদ্দিকী, গ্রান্ড ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্সের ড. ফাহমিদ মির্জা (আন্ত: প্রাদেশিক সহযোগিতা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতা নুরুল হক (ধর্ম মন্ত্রণালয়)।
সূত্র: দ্য ডন
এমজে/
আরও পড়ুন