ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

নওয়াজ-মরিয়মের ঈদ কাটবে জেলেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:২৩, ২১ আগস্ট ২০১৮

দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে এবারের ঈদ উদযাপন করতে হবে জেলখানাতেই। এছাড়াও নওয়াজ কন্যা মরিয়ম শরীফ এবং তার জামাতা সাবেক ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ সফদারকেও ঈদ উল আজহায় জেলে বন্দী হয়েই কাটাতে হবে। গতকাল সোমবার আদালত তাদের সাজা স্থগিতের একটি আবেদন খারিজ করে দিলে ঈদের আগে জেল থেকে মুক্তির পথ বন্ধ হয়ে যায় শরিফদের।

অ্যাভেনফিল্ড অ্যাপার্টমেন্ট দুর্নীতি মামলায় ১০ বছরের সাজা হয় নওয়াজ শরীফের। সাত বছর আর এক বছর করে সাজা হয় যথাক্রমে নওয়াজ শরীফ এবং মোহাম্মদ সফদারের। এই সাজা স্থগিত করে আটককৃতদের জামিন আবেদন করা হলে আদালত না নাকচ করে দেন।

ইসলামাবাদ উচ্চ আদালতে গত সপ্তাহে এই আবেদন করা হলে গতকাল সোমবার আবেদনের শুনানির দিন ধার্য ছিল। শুনানিতে শরীফদের পক্ষে অংশ নেন আইনজীবী খাজা হারিজ এবং আমজাদ পারভেজ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী আব্বাসি।

উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে বিচারপতি আতাহার মিনাল্লা এবং বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান আওরঙ্গজেবের সমন্বিত বেঞ্চ শরীফদের জামিন আবেদন নাকচ করে দেন। শুনানির রায়ে বলা হয়, যেহেতু শরীফদের পক্ষ থেকে সাজার বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হয়েছে সেহেতু এই সাজার স্থগিতাদেশ ঐ আপিল আবেদনেই শুনানি হবে। তবে যদি আপিল আবেদন নিষ্পত্তি হতে দেরি হয় তাহলে সাজাপ্রাপ্তদের নতুন করে আবেদন করার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

তবে সাজার আপিল আবেদনের পরবর্তী শুনানী আগামী সপ্তাহে ধার্য করা হয়েছে। ফলে সাজাপ্রাপ্তদের নিশ্চিতভাবেই এবারের ঈদে জেলেই বন্দী থাকতে হবে।

তবে নওয়াজ শরীফের জন্য জেলে ঈদের অভিজ্ঞতা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও দুইটি ঈদ জেলে বসেই কাটিয়েছেন নওয়াজ। ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানোর পর জেলে বন্দী করা হয়েছিল তাকে।

পাকিস্তানের ইতিহাসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঈদে জেলে বন্দী থাকা একমাত্র রাজনৈতিক নন নওয়াজ শরীফ। এর আগে ১৯৭৭ সালের জুলাইয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকেও গরাদের ওপারে থেকেই ঈদ উদযাপন করতে হয়।

সূত্রঃ ডন

//এস এইচ এস//

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি