ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

বিশ্বের যে কারাগারে কোন রক্ষী নেই

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:২৫, ২৩ আগস্ট ২০১৮

বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে কারাগারের ভেতরের শোচনীয় অবস্থা নিয়ে প্রায়ই তুমুল আলোচনা চলে। এছাড়াও ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি বন্দী এবং কারাগারের ভেতরে গুণ্ডা দলের দৌরাত্ম্যের খবর পাওয়া যায়।

এর ফলে মাঝে মধ্যে কারাগারে দাঙ্গা হাঙ্গাম তৈরি হয়। কিন্তু ব্রাজিলে এমন এক কারাগার রয়েছে যেখানে নেই কোন কারারক্ষী। নেই কোন অস্ত্র।

ব্রাজিলের ইটুয়ানায় এরকমই একটি কারাগার রয়েছে। `অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্যা প্রোটেকশন অ্যান্ড অ্যসিসটেন্স টু কনভিক্টস (এপ্যাক) নামের সংস্থা কর্তৃক এটি পরিচালিত হয়।

তাতিয়ানা কোরেইয়া দ্যা লিমা (২৬) নামের একজন বন্দী ওই কারাগারে রয়েছেন। তিনি যখন প্রথম কারাগারে নিজের সেলে ঢুকেন, সেদিন আয়নায় নিজেকে দেখে চিনতে পারেননি তিনি।

মূল কারাগারে যেখানে বন্দীদের জন্য রয়েছে নির্দিষ্ট পোশাক, সেখানে এই কারাগারটিতে লিমা তার নিজের কাপড়ই পরতে পারেন। তার সেলে রয়েছে আয়না, মেকআপ করার সরঞ্জাম।

ব্রাজিলের কারা সঙ্কটের পটভূমিতে এপ্যাক পরিচালিত কারাগারগুলি অনেক বেশি নিরাপদ, সস্তা, এবং মানবিক বলে স্বীকৃতি পাচ্ছে।

গত ২০ মার্চ ব্রাজিলের উত্তরাঞ্চলের রনডোনিয়া এলাকায় এপ্যাক পরিচালিত একটি কারাগারের উদ্বোধন করা হয়। সারা দেশে এধরনের ৪৯টি কারাগার রয়েছে।

এখানে যে ধরনের বন্দীদের আনা হয় তাদের বেশিরভাগই আসে মূল কারা ব্যবস্থা থেকে। এরা যে তাদের অপরাধের জন্য অনুশোচনা করছেন সেটা তাদেরকে প্রমাণ করতে হয়।

নিয়মিত শ্রম দেওয়া এবং শিক্ষা গ্রহণ করার ব্যাপারে এই কারাগারের যেসব নিয়মকানুন রয়েছে তা কঠোরভাবে পালন করা হয়।

কারাগারে রয়েছে `কনজ্যুগাল সুইট`, যেখানে রয়েছে ডাবল বেড খাট। দেখা করতে আসা স্বামীদের সঙ্গে বন্দীরা এখানে `ঘনিষ্ঠ সময়` কাটাতে পারেন।

উল্লেখ্য, ব্রাজিলে কারাবন্দীর মোট সংখ্যা বিশ্বের চতুর্থ। দেশে প্রথম এপ্যাক কারাগার স্থাপন করা হয় ১৯৭২ সালে। একদল ক্যাথলিক খ্রিস্টান এটি তৈরি করেছিলেন। এখন এভিএসআই ফাউন্ডেশন নামে ইতালির একটি এনজিও এবং ব্রাজিলের সাবেক কারাবাসীদের একটি প্রতিষ্ঠান এর অর্থায়ন করে থাকে।

 

তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা।

এমএইচ/ এসএইচ/

 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি