ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

চীনে ২৭৭ বছর আগের একটি ঘণ্টা উদ্ধার  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৩৫, ২৭ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ২১:৪১, ২৭ আগস্ট ২০১৮

চীন নানান কারণে পৃথিবীতে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক বাহক হিসেবে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে আছে। চীনের প্রাচীর থেকে শুরু করে বহু নিদর্শন বিশ্ববাসীকে দু’হাত বাড়িয়ে ডাকে। তাই প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ দর্শনার্থী চীনে ভ্রমণে আসেন।  

উত্তর চীনের ঐতিহাসিক রাজ্য হেবেই। এখানে বৌদ্ধ ধর্মের হরেক রকম নিদর্শন ছড়িয়ে রাজ্যের আনাচে-কানাচে। অষ্টাদশ শতাব্দীর রাজপ্রাসাদ, বাগান, প্যাগোডা  এখনও রয়েছে সবই। 

বৃহস্পতিবার, এখানকারই একটি গ্রাম থেকে ২৭৭ বছর আগে তৈরি হওয়া একটি ঘণ্টা উদ্ধার হয়। ঘণ্টাটির ওজন ২০০ কেজি। উচ্চতা ১ মিটার। ব্যাস ৮০ সেন্টিমিটার।

ঘণ্টাটির ঐতিহাসিক মূল্যই শুধু নয়, শিল্পের বিচারে এর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রায় তিনশ’ বছর আগে তৈরি ঘণ্টাটির গায়ে খোদাই করা রয়েছে দুটো ভাগ। উপরের ভাগে রয়েছে আটটি বাস্তব চরিত্র, ওই সময়ে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, রাজা ও যুবরাজের প্রশান্তি করে ও তাদের দীর্ঘ জীবনের জন্য শুভকামনা জানিয়ে কিছু কথা লিখা রয়েছে । ঘণ্টার নিচের ভাগটিতে তিনশ’রও বেশি চরিত্র খোদাই করে রাখা রয়েছে।

দেশটির সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সামগ্রী বিশেষজ্ঞ জানান, চীনের ইতিহাসের সঙ্গে এই ঘণ্টাটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে দীর্ঘ কয়েক শতাব্দী ধরেই। প্রথমে এই ঘণ্টাটি ব্যবহার করা হতো বার্তা দেওয়ার জন্য। পরে এটিকে একটি বাদ্যযন্ত্র হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।

এই ঘণ্টা তৈরির পর পেরিয়ে গেছে প্রায় তিনশ’ বছর। এর মধ্যে চীনের হোয়াংহো নদী দিয়ে বয়ে গেছে কত জল। গোটা পৃথিবীই তার নিজের তালেই বদলে গেছে অনেকটা। এর মধ্যেও এখনও রয়ে গেছে অতিবৃদ্ধ ও ভারী এ ঘণ্টাটি। এটি চীনের বাতাসে ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধ্বনি মিশিয়ে চলেছে সন্তর্পণে। (সূত্রঃ সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া) 

কেআই/এসি 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি