কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন অনৈতিক: নেপালের তদন্ত কমিশন
প্রকাশিত : ১২:৪০, ২৮ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১২:৫৮, ২৮ আগস্ট ২০১৮
নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস-বাংলার বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে কাঠমান্ডু পোস্টের প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে সরকার গঠিত অনুসন্ধান কমিশন। ওই প্রতিবেদনকে ‘অনৈতিক ও প্রতারণামূলক’ বলেও মন্তব্য করেছে অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশন।
সোমবার কমিশনের সদস্য সচিব বুদ্ধি সাগর লামিচ্ছানে স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাঠমান্ডু পোস্টে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন নিয়ে কমিশন ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং অসন্তুষ্ট’।
কাঠমান্ডু পোস্টের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের পাইলট আবিদ সুলতান ‘ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মারাত্মক মানসিক চাপ ও উদ্বেগের’মধ্যে ছিলেন এবং ওই অবস্থায় তিনি একের পর এক যেসব ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ নিয়েছেন। তিনি ককপিটে দাঁড়িয়ে একের পর এক সিগারেট খাচ্ছিলেন। তার ভুল সিদ্ধান্তেই কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিএস-২১১ বিধ্বস্ত হয়।
ওই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে নেপাল সরকারের গঠিত অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশনের প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি হাতে পাওয়ার কথা জানিয়ে কাঠমান্ডু পোস্ট লিখেছে, পাইলট আবিদ সুলতান ত্রিভুবনে নামার প্রস্তুতির সময় বিমানবন্দর নিয়ন্ত্রণ কক্ষে ‘অসত্য’ তথ্য দিয়েছিলেন; এক ঘণ্টার ওই পুরো ফ্লাইটে তিনি ককপিটে বসেই ধূমপান করছিলেন।
ঢাকা থেকে ৬৭ জন যাত্রী ও চারজন ক্রু নিয়ে রওনা হয়ে গত ১২ মার্চ দুপুরে কাঠমান্ডুতে নামার সময় দুর্ঘটনায় পড়ে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস-২১১। আরোহীদের মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যু হয়, যাদের ২৭ জন ছিলেন বাংলাদেশি।
নেপালের অ্যাকসিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন কমিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই কমিশনের কাজের মূল উদ্দেশ্য হল ওই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ খুঁজে বের করা এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে আর না ঘটে সে চেষ্টা করা। সেই তদন্ত এখনও চলছে। কমিশন বিশ্বাস করে, দুর্ঘটনার তদন্ত ‘গণমাধ্যমের প্রপাগান্ডার’ বিষয় নয়।
/ এআর /
আরও পড়ুন