ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

ম্যাকেনের শেষকৃত্যে এখনও না ট্রাম্পের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৭, ২৯ আগস্ট ২০১৮

অবশেষে রফা।ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়েই কাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্দেশ দিলেন, আগামী শনিবার রিপাবলিকান সেনেটর জন ম্যাকেনের শেষকৃত্য না-হওয়া পর্যন্ত হোয়াইট হাউসে অর্ধনমিতই থাকবে জাতীয় পতাকা। 

এটাই দস্তুর। কিন্তু এতে ভিয়েতনামে যুদ্ধবন্দি মার্কিন নৌসেনার বোমারু বিমানের প্রাক্তন পাইলটের সঙ্গে তাঁর দ্বন্দ্ব মিটল কি? উত্তর খুঁজতে গিয়ে মার্কিন কূটনীতিকদেরই একাংশ বলছেন— না, মৃত্যুতেও শেষ হল না রাজনীতি।

জন সিডনি ম্যাকেন থ্রি।  অ্যারিজোনা থেকে ছ’বারের সেনেটর ৮১ বছর বয়সে গত শনিবার মারা যান। ব্রেন ক্যানসারে ভুগছিলেন তিনি। তবু শেষ দিন পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করতে ছাড়েননি। শেষ দিকটায় লাভ হবে না বুঝতে পেরে নিজের চিকিৎসা বন্ধ করে দেন। এ দিকে আবার পরিবারের ঘনিষ্ঠদের বলে গিয়েছিলেন যে, তাঁর শেষকৃত্যে যেন ট্রাম্প না আসেন।

অভিযোগ, ম্যাকেনের মৃত্যুর পরে ন্যূনতম সৌজন্য দেখাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কারণ, জীবদ্দশাতেই তাঁকে যুদ্ধফেরত নায়ক বলে মানতে চাননি তিনি। শনিবার হোয়াইট হাউসেরই একটি সূত্র জানিয়েছিল, টুইটারে দায়সারা শোকবার্তা দিয়েই সে দিন গল্‌ফ খেলতে চলে গিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে নিয়মরক্ষায় রবিবার পর্যন্ত হোয়াইট হাউসে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ছিল। 

কিন্তু সোমবার সকালে এর অন্যথা হতেই সুর চড়াতে শুরু করেন ডেমোক্র্যাট, এমনকি রিপাবলিকান সেনেটররাও। পরিস্থিতি ঘোরালো হচ্ছে দেখেই মাঠে নামেন প্রেসিডেন্ট। তবে ন্যাশনাল ক্যাথিড্রালে ম্যাকেনের শেষকৃত্যে যে তিনি যাবেন না, সেটাও স্পষ্ট করে দেন তিনি। শনিবারের ওই অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের চিফ অব স্টাফ, প্রতিরক্ষাসচিব অবশ্য যাবেন। থাকবেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ, বারাক ওবামাও।

কাল সকালে ম্যাকেনের এক পারিবারিক বন্ধু জাতির উদ্দেশে লেখা তাঁর শেষ বিবৃতি পাঠ করেন। যেখানে ম্যাকেন বলেছেন, ‘‘দেওয়ালের আড়ালে লুকিয়ে থাকবেন না। আমাদের এই দেশ রক্ত আর মাটির নয়, আদর্শে গড়া।’’ জীবদ্দশায় এই ম্যাকেনই ট্রাম্পের শাসনকে ‘অসুস্থতা’ বলতেন। 

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি