স্তন্যপান করাতে আলাদা সফর
প্রকাশিত : ১১:২৭, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
১৯৯০ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন মা হয়েছিলেন বেনজির ভুট্টো। আঠাশ বছর পরে দেশের শাসনভার সামলে সদ্য মা হয়েছেন আরও এক নারী। এ হেন ‘নারী উন্নয়নকে’ স্বাগতই জানিয়েছে দুনিয়া। যদিও মাস গড়াতে না গড়াতেই নিউজ়িল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্নকে নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়ে গেল দেশে।
জুন মাসে মা হন জেসিন্ডা। মাত্র দু’টো মাস বিশ্রাম নিয়েই সেপ্টেম্বরের শুরুতে কাজে যোগ দিয়েছেন তিনি। বুধবার নাউরুতে প্রশান্তমহাসাগরীয় দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর একটি সম্মেলনে যোগ দিতে যাওয়ার কথা ছিল জেসিন্ডার। কিন্তু মেয়েকে স্তন্যপান করাতে হবে বলে তিনি যেতে পারেননি। জেসিন্ডা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকার সময়ে সমস্ত দায়িত্ব সামলেছিলেন উপপ্রধানমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এবারেও তিনি একাই সম্মেলনে যোগ দিতে চলে যান। জেসিন্ডা জানিয়েছিলেন, ১১ সপ্তাহের মেয়েকে ফেলে তিনি যেতে পারবেন না। স্তন্যপান করানোর জন্য আপাতত তাকে থেকে যেতে হবে। সব দিক সামলে তিনি সম্মেলনে যোগ দেবেন চলতি সপ্তাহের শেষে।
নিউজ়িল্যান্ডের একটি দৈনিকে লেখা হয়েছে, জেসিন্ডার আলাদা সফরের জন্য বিমানের জ্বালানি বাবদই খরচ হবে অতিরিক্ত ৫০ হাজার ডলার। সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় জেসিন্ডাকে ট্রোল করা শুরু হয়। কারও কারও মতে, উপপ্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেই যাওয়া উচিত ছিল জেসিন্ডার। অনেকের বক্তব্য, ওই বৈঠকে জেসিন্ডার আদৌ প্রয়োজন রয়েছে, নাকি উইনস্টনই যথেষ্ট। কেউ কেউ আবার দাঁড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর পাশে। যেভাবে তিনি অফিস এবং সংসার একসঙ্গে সামলাচ্ছেন, তার প্রশংসা করেছেন তারা।
নিন্দুকদের এক হাত নিয়েছেন জেসিন্ডা। বলেছেন, ‘আমি যদি একেবারে না যেতাম, তা হলেও একই রকম সমালোচনা হত।’ সম্মেলনে যাওয়া নিয়ে আগেই ওই দৈনিককে তিনি জানিয়েছিলেন, নাউরুতে আলাদা সফর বাবদ খরচ যতটা কমানো সম্ভব, তিনি দেখছেন। কিন্তু তার পরেও ওই দৈনিকে লেখা হয়েছে, বিদেশ সফরে করদাতাদের অর্থের অপব্যবহার করছেন জেসিন্ডা। প্রধানমন্ত্রীর আক্ষেপ, ‘আমি যা-ই করি না কেন, কথা হবেই।’
সূত্র: আনন্দবাজার
একে//
আরও পড়ুন