ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করায় কেরির সমালোচনা
প্রকাশিত : ২০:০৮, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করায় সমালোচনার মুখে পরতে হয়েছে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিকে। জন কেরি মার্কিন পররাষ্ট্র নীতিকে ‘অগ্রাহ্য’ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং পরবরাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাম ওবামার দ্বিতীয় মেয়াদে পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন জন কেরি। তবে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর দায়িত্ব ছাড়েন তিনি। দায়িত্ব ছাড়ার পর ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফের সাথে ‘তিন থেকে চারবার’ সাক্ষাৎ করেছেন বলে স্বীকার করেন কেরি।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন জন কেরি। তবে চলতি বছরের মে মাসে তার মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে চুক্তি আর নবায়ন করেনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসন।
সম্প্রতি নিজের লেখা বই ‘এভরি ডে ইক্সট্রা’ এর এক উন্মোচন অনুষ্ঠানে জন কেরি ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের কথা জানান। দায়িত্ব ছাড়ার পর মোহাম্মদ জাভাদ জারিফের সাথে তিন থেকে চারবার সাক্ষাৎ হয়েছে বলে জানান তিনি।
কেরির এমন সাক্ষাতের সমালোচনা করে ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইট বার্তায় লেখেন, “জন কেরি শত্রু ইরানিদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন যা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের ভালো কাজগুলোকে খাটো করে”। আর দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী মাইক পম্পেও জন কেরির এমন সাক্ষাতকে ‘সঠিক নয়’ উল্লেখ করে বলেন, “মার্কিন ইতিহাসে এমন নজির আর নেই যেখানে সাবেক মন্ত্রী এমনটা করেছেন। তাঁর (কেরি) এমন কাজ করা থেকে অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। এটি মার্কিন পররাষ্ট্র নীতির পরিপন্থী”।
এদিকে জন কেরির পক্ষে তার মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, “এটা বিরল কোন ঘটনা নয়। মার্কিন কূটনৈতিকেরা বিভিন্ন দেশে তাদের সমমর্যাদার কূটনৈতিকদের সাথে যোগাযোগ রাখেন। কেরিও তাই করেছেন”।
এদিকে ট্রাম্পের টুইটের জবাব টুইট দিয়েই দিয়েছেন কেরি। তিনি লেখেন, “জনাব প্রেসিডেন্ট, ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে আমার বৈঠকের চেয়ে রবার্ট মুলারের সাথে পল ম্যানাফোর্টের বৈঠক নিয়ে আপনার বেশি মনযোগী হওয়া উচিত। তবে পৃথিবীকে নিরাপদ করা পরমাণু চুক্তি নিয়ে আপনি যদি কিছু শিখতে চান তাহলে আমার বই কিনে পড়ুন”।
সূত্রঃ আল জাজিরা
//এস এইচ এস//
আরও পড়ুন