রাফাল বিতর্কে এড়িয়ে গেলেন ম্যাকরো
প্রকাশিত : ১৮:২৮, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৮:৩৩, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
রাফাল বিতর্কে প্রশ্নের জবাব দিলেন তবে, কৌশলে মূল উত্তরটি এড়িয়ে গেলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাকরো। মঙ্গলবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এক সাংবাদিক বৈঠকে ম্যাকরোকে প্রশ্ন করা হয়, রাফাল চুক্তির বিষয়ে ফ্রান্স সরকার বা যুদ্ধবিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা দ্যাসো-র কাছে অনিল আম্বানির সংস্থার নাম ভারত সুপারিশ করেছিল কি না? এই প্রশ্নের জবাবে ম্যাকরো সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি বলেন, “এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। রাফাল চুক্তি যখন হয়, তখন প্রেসিডেন্ট পদে আমি ছিলাম না।”
এর পর ম্যাখোঁর যুক্তি, আমি এইটুকু নিশ্চিতভাবে জানি, রাফাল চুক্তি ছিল দুই সরকারের অভ্যন্তরীণ চুক্তি। যদি এই বিষয়ে কিছু বলতেই হয়, তা হলে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী মোদির করা মন্তব্যের কথা উল্লেখ করব। তবে, প্রধানমন্ত্রী সে দিন কী বলেছিলেন, সে বিষয়ে খোলসা করেননি ম্যাকরো।
রাফাল চুক্তিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত চুক্তি বলে উল্লেখ করেন ফ্রান্স প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, এই চুক্তির সঙ্গে কোনও বাণিজ্যিক সংস্থা জড়িয়ে নেই। দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী এই পরিস্থিতে যা বলেছিলেন, সেটাই গুরুত্ব দিতে চাই।
উল্লেখ্য, গত ২১ সেপ্টেম্বর ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। ওলাঁদ বলেন, দ্যাসো সংস্থার কাছে ভারতই অনিল আম্বানির সংস্থার নাম সুপারিশ করেছিল। এ বিষয়ে ফ্রান্স সরকারের কোনও ভূমিকাই ছিল না। ওলাঁদের এই মন্তব্যে রীতিমতো পরমাণু বিস্ফোরণ ঘটে দেশের রাজনীতিতে। কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রথম থেকেই দাবি জানিয়েছিলেন, অনিল আম্বানির সংস্থাকে লাভবান করতেই রাফাল চুক্তির অংশীদার করে মোদি সরকার।
এমন বক্তেব্যে ওলাঁদের মন্তব্যে তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। তবে, তড়িঘড়ি ফ্রান্স সরকার এবং দ্যাসো পৃথকভাবে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয়, অংশীদার হিসেবে আম্বানির সংস্থাকে বেছে নিতে ভারত সরকারের কোনও ভূমিকা ছিল না। পরবর্তীকালে ওলাঁদ তার মন্তব্য থেকে পিছু হঠেন।
তথ্যসূত্র: জি ২৪ঘণ্টা।
এসএইচ/
আরও পড়ুন