পদার্থে ৫৫ বছরে প্রথম নারীর নোবেল জয়
প্রকাশিত : ১৯:৫০, ৩ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৩:০১, ৪ অক্টোবর ২০১৮
আলো বা লেজার রশ্মি নিয়ে করা গবেষণা নোবেল পুরস্কার এনে দিয়েছে তিন পদার্থবিজ্ঞানীকে। গতকাল বুধবার চলতি বছরে পদার্থবিদ্যায় নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে। তারা হলেন আর্থার আশকিন, জেরার্ড আলবার্ট মুরো এবং ডনা স্ট্রিকল্যান্ড। এদের মধ্যে ডনা এই বিভাগে বিগত ৫৫ বছরের মধ্যে নোবেল জয়ী একমাত্র নারী এবং ইতিহাসে মাত্র তৃতীয়তম নারী। একই সাথে আর্থার আশকিন হলেন ইতিহাসে সবথেকে বেশি বয়সে নোবেল বিজয়ী ব্যক্তি।
যে বিষয়ের জন্য নোবেল
এই তিন বিজ্ঞানী চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য যুগান্তকারী এক ধরণের অপটিক্যাল লেজার আবিষ্কার করেন যা অস্ত্রোপচার প্রক্রিয়াকে করেছে নির্ভূল।
পুরস্কার হিসেবে যা পেলেন
এই বিভাগে নোবেল পুরস্কারের সাথে থাকছে নয় মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনর অর্থ্যাত প্রায় ১১ লক্ষ মার্কিন ডলার। এই অর্থের অর্ধেক পাবেন মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী আর্থার আশকিন। বাকিটুকু ভাগাভাগি করে নেবেন ফ্রেঞ্চ বিজ্ঞানী জেরার্ড আলবার্ট মুরো এবং কানাডিয়ান ডনা স্ট্রিকল্যান্ড।
ডনা স্ট্রীকল্যান্ড
৫৯ বছর বয়সী ডনা স্ট্রীকল্যান্ড মাত্র তৃতীয় নারী যিনি পদার্থে নোবেল পুরস্কার পেলেন। বিগত ৫৫ বছরের মধ্যে অবশ্য প্রথম তিনি। ডনার আগে ১৯০৩ সালে মারিও ক্যুরি এবং ১৯৬৩ সালে মারিয়া জিওপার্ট পদার্থে নোবেল পেয়েছিলেন।
অ্যাকাডেমিকে মুঠোফোনে ডনা জানান, নোবেল বিজয়ীদের তালিকায় নাম দেখে বেশ উত্তেজিত হয়ে পরেছিলেন তিনি। তিনি বলেন, “এই পুরস্কারটা নারীদের কাছে অনেকটাই অধরা। আরও যারা নারী পদার্থবিদ আছেন তাদের সাথে এই পুরস্কারের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া দরকার। তাদের একজন হতে পেরে আমি সত্যিই সম্মানিত বোধ করছি”।
আশকিন, সবথেকে বৃদ্ধ বয়সী নোবেল জয়ী
৯৬ বছর বয়সী আশকিন নোবেল জয়ের পাশাপাশি গড়েছেন একটি রেকর্ড। যুক্তরাষ্ট্রের লিওনিড হুরউইচকে পেছনে ফেলে সবথেকে বেশি বয়সে নোবেল জেতার রেকর্ড এখন তার দখলে। ৯০ বছর বয়সে ২০০৭ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন লিওনিড।
এদিকে আর্থার আশকিন কিন্তু থেমে নেই। নিউ ইয়র্কে নিজ বাসার গবেষণাগারে এখনও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। রয়টার্সকে দেওয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এই মুহুর্তে আমি ব্যস্ত। সোলার এনার্জি নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা লিখছি”।
অপটিক্যাল টুইজারসহ প্রায় ৪৭টি আবিষ্কারের পেটেন্টের মালিক আশকিন।
জেরার্ড ম্যুরো
৭৪ বছর বয়সী জেরার্ড ম্যুরো তার ছাত্রী ডনা স্ট্রীকল্যান্ডকে নিয়ে আবিষ্কার করেন ‘চিরপড পালস অ্যামপ্লিফিকেশন’ (সিপিএ)। মূলত এই আবিষ্কারের জন্যই নোবেল পান তারা। নোবেল কমিটি তাদের মন্তব্যে বলেছে, “এই হচ্ছে মানব আবিষ্কৃত সবথেকে ক্ষুদ্রতর এবং তীব্র লেজার পালস”।
বার্তা সংস্থা এএফপি’কে জেরার্ড বলেন মঙ্গলবার দুপুরে প্রতিদিনকার মতো সাঁতার কাটতে যাওয়ার সময় নোবেল একাডেমির কাছ থেকে ফোন পান তিনি। তিনি বলেন, “আপনি এটা আশা করেন না। আপনি শুধু কল্পনা করতে পারেন। তবে এটা যখন বাস্তবে হয় তখন টা সত্যিই আলাদা”।
ম্যুরো এখন অ্যাফিলিয়েট অধ্যাপক হিসেবে কাজ করছেন ফ্রান্সে ইকোলি পলিটেকনিকে।
আরও পড়ুনঃ
এবছর পদার্থে নোবেল বিজয়ীদের খুঁটিনাটি
আরও পড়ুন