কলকাতার জিপিও’র ১৫০বছর পূর্তি!   

ভারতের কলকাতার জেনারেল পোস্ট অফিস, বা জিপিও ১৫০ বছর পূর্ণ করেছে। ভারতীয় ডাক ও তার বিভাগের পূর্বাঞ্চলীয় সদর দপ্তর হিসেবেই নয়, এই ভবন নিও ক্লাসিক্যাল স্থাপত্যেরও এক অনুপম নিদর্শন এবং শহরের অন্যতম ঐতিহ্যশালী ইমারত হিসেবে চিহ্নিত৷   

১.স্মারক স্থাপত্য

কলকাতার কেন্দ্রে অবস্থিত জিপিও ভবন শহরের অন্যতম স্মারক স্থাপত্য হিসেবে চিহ্নিত এবং সংরক্ষিত৷ ঠিক যেমন অদূরের সেন্ট জন্‌স চার্চ বা রাইটার্স বিল্ডিং৷  

২. সময় রক্ষক 

জিপিও’র ডোম আকারের চূড়ার সামনেই আছে তিনমুখী ঘড়ি, যা  দেখে  আজও সময় মিলিয়ে নেয় কলকাতা শহরের ব্যস্ত অফিসপাড়া৷

৩. নিও ক্লাসিক্যাল 

১৮৬৮ সালে তৈরি এই জিপিও ভবনটি নিও ক্লাসিক্যাল, নব্য ধ্রুপদী আঙ্গিকে তৈরি, যা সে সময়ের ব্রিটিশ স্থাপত্যরীতির চলতি ধারা ছিল৷

৪. পর্যটক আকর্ষণ

আপনারা যারা কলকাতায় বেড়াতে আসেন, তাঁদের দ্রষ্টব্য তালিকায় থাকে এই জিপিও ভবন৷ সরকারি পর্যটন দপ্তর এটিকে সেই মর্যাদা দেয়৷   

৫. তাক লাগানো

জিপিও’র মেঝে থেকে ডোমের মাথা পর্যন্ত উচ্চতা ১২০ ফুট৷ অতিকায় সুদৃশ্য থামের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা সেই ডোম এবং তার বাইরের বেড়ের কারুকাজ রীতিমতো তাক লাগানো৷

৬. সম্ভ্রম জাগানো

ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল বাদ দিলে, জিপিও’র মতো এমন সম্ভ্রম জাগানো কলকাতার অন্য কোনো ঐতিহ্য ইমারতের নেই৷

৭. ১৫০ উদযাপন

জিপিও’র ১৫০ বছর পূর্তির দিন, অর্থাৎ ১ অক্টোবর বিশেষভাবে উদযাপিত হলো৷ সেই উপলক্ষে সাজানো হয়েছিল ভবনটি৷

৮. ছুটন্ত রানার

পিঠে কাপড়ের বস্তা নিয়ে চিঠি বহন করা, একহাতে লন্ঠন, অন্য হাতে বল্লম, যার মাথায় ঘণ্টা বাঁধা৷ ডাক হরকরা, বা রানারের চিরা-চরিত মূর্তি ছিল ১৫০ বছরের উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু৷

৯.স্মারক সংগ্রহশালা

শুধু ঐতিহ্য ভবনটির সংরক্ষণই নয়, এখানে ভারতীয় ডাক বিভাগের একটি স্মারক সংগ্রহশালার উদ্বোধন হলো এদিন, যা ক’দিন পর থেকেই সাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে৷ সূত্র: ডি ডব্লিউ    

কেআই/এসি