ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

রহস্যময় ক্রুকেড ফরেস্ট!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৫, ২৮ অক্টোবর ২০১৮ | আপডেট: ১৬:১৮, ২৮ অক্টোবর ২০১৮

রহস্যজনক এক বনের নাম ‘ক্রুকেড ফরেস্ট’। পোল্যান্ডে অবস্থিত এই বনটির সবগুলো গাছ অদ্ভুতভাবে বাঁকা। এই বনের প্রতিটি গাছ মাটির সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি অবস্থানে রয়েছে।

আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট কিউরিওসিটি.কম-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, পশ্চিম পোল্যান্ডের এই অরণ্যে রয়েছে ৪০০ পাইন গাছ। ১৯৩০ সালে গাছগুলি লাগানো হয়। কিন্তু কেন বনটির প্রত্যেকটি গাছ এমনভাবে বেঁকে গিয়েছিল তার সঠিক উওর আজও মেলেনি।

মাটির কাছ থেকে কাণ্ড ইংরেজি বর্ণমালার তৃতীয় অক্ষর ‘সি’-এর আকৃতিতে বেঁকে রয়েছেও বলা যেতে পারে।অদ্ভুত আকারের এই গাছগুলো দেখতে পাওয়া যায় পোল্যান্ডে।এ কারণেই এই জঙ্গলকে বলা হয় ‘ক্রুকেড ফরেস্ট’।

পোল্যান্ডের পশ্চিমে গ্রিফিনো শহরের কাছেই রয়েছে জঙ্গলটি। ক্রুকেড ফরেস্টে ২২টি সারিতে শত শত অদ্ভুত আকারের পাইন গাছ রয়েছে।

জানা যায়, ওই গাছের কাঠ দিয়ে নৌকা তৈরির উদ্দেশ্যে এগুলো লাগানো হয়েছিল।তবে কেন এই গাছগুলো এমন বিচিত্রভাবে বেঁকে গেছে, তা আজও জানা যায়নি।

কারও কারও মতে, কোনো এক তুষার ঝড়ে গাছগুলোর এ রকম অবস্থা হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, কৃত্রিম কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করে যান্ত্রিক পদ্ধতিতে এই গাছগুলোকে এমন করে আকৃতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই পদ্ধতি কী, তা কেউ বলতে পারেনি। সেগুলোকে নাকি বলা হতো কম্পাস টিম্বার।

আবার অনেকেই বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর শহরটি ধ্বংস হয়ে যায়। বিশ্বযুদ্ধের সময় নাকি সামরিক ট্যাঙ্ক গিয়েছিল এই জঙ্গলের মধ্য দিয়ে। তাই ট্যাঙ্কের আঘাতেই নাকি এ রকম বেঁকে গেছে গাছগুলো, তবে এই তত্ত্ব নিয়েও উদ্ভিদবিজ্ঞানীদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।

এই বিচিত্র জঙ্গলে পর্যটকরা বেড়াতে আসেন প্রায়ই। শুটিংও হয়েছে বেশ কয়েকবার। কিন্তু গাছের আকৃতির কারণ নিয়ে সংশয় রয়েই গেছে। এখনও এ বিষয় নিয়ে গবেষণা চলছে।

কেআই/এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি