ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বারাক ওবামার দুই সন্তানই কৃত্রিমভাবে জন্ম নেওয়া

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৯:৩৮, ১০ নভেম্বর ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

দাম্পত্য জীবন নিয়ে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ করলেন সাবেক মার্কিন ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা। আগামী মঙ্গলবার প্রকাশ পেতে চলেছে তার স্মৃতিকথা ‘বিকমিং’। তার আগে এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমে বিবাহিত জীবনের কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন মিশেল। তিনি জানিয়েছেন, প্রায় ২০ বছর আগে তার ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যায়। তারপর আইভিএফ-এর মাধ্যমে দুই মেয়েকে জন্ম দেন তিনি।

আদ্যপান্ত নিপাট ভদ্রলোক বলেই পরিচিত আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা। বহুবার নিজে বৃষ্টিতে ভিজে স্ত্রী মিশেলের মাথায় ছাতা তুলে ধরেছেন তিনি। একজন দায়িত্বশীল স্বামী ও বাবা হিসেবে তার জুড়ি মেলা ভার। তাই বলে যে মিশেল-বারাকের জীবনে আর পাঁচটা দম্পতির মতো চাপানউতোর নেই, তা কিন্তু নয়। ‘গুড মর্নিং আমেরিকা’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মিশেল জানান, ভ্রুণ নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঘটনাটি ঘটে ১৯৯৭ সালে। তারপরই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন তিনি। সবসময় নিজেকে নিঃসঙ্গ মনে করতেন তিনি। এই ঘটনার প্রভাব পরে বারাকের উপরও। তাদের মধ্যে মতবিরোধও দেখা দেয়। একটা সময় পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে, দু’জনেই মনোবিদের সাহায্য নিতে বাধ্য হন। সাবেক ফার্স্ট লেডি আরও জানান, ভ্রুণ নষ্ট হওয়ার ফলে সন্তান ধারণে জটিলতা দেখা দেয়। ফলে তাকে আইভিএফ বা কৃত্রিমভাবে সন্তান জন্ম দিতে হয়। এভাবেই ১৯৯৮ সালে জন্ম হয় বড় মেয়ে মালিয়ার। তারপর তাদের ঘরে আসে সাশা। অবশ্য তারপর থেকেই স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসে। মতবিরোধ ভুলে ও পুরনো দিনগুলিকে পিছনে ফেলে নতুনভাবে জীবন শুরু করেন তারা।

কেন ভ্রুণ নষ্টের কথা তুলে ধরেছেন মিশেল? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, নারীদের কাছে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভ্রুণ নষ্ট হয়ে গেলেই জীবন শেষ হয়ে যায় না। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে শিখতে হবে। আত্মজীবনীতে দাম্পত্য জীবন ছাড়াও একাধিক বিষয় তুলে ধরেন মিশেল। শিকাগো শহরে নিজের ছেলেবেলা ও বর্ণবিদ্বেষ নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। জানান, আমেরিকার প্রথম কৃষাঙ্গ ফার্স্ট লেডি হওয়ার অভিজ্ঞতা। সব মিলিয়ে, বইটি থেকে জানা যাবে মিশেল-বারাকের জীবনের অনেক অজানা তথ্য।


তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন।
এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি