সৌদি যুবরাজকে
খাশোগির রক্ত এখনও শুকায়নি
প্রকাশিত : ১৬:৩৩, ২৪ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১৬:৩৬, ২৪ নভেম্বর ২০১৮
তিউনিশিয়ায় সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের আসন্ন সফরের বিরোধিতা করছেন দেশটির রাজনীতিবীদ ও সুশীল সমাজ। তারা সৌদি যুবরাজকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, আপনাকে আমরা স্বাগত জানাবো না। কারণ এখনও সাংবাদিক খাশোগির রক্ত শুকায়নি। উল্লেখ্য, সৌদি রাজ পরিবারের বিরোধীতা করা সাংবাদিক খাশোগিকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে সৌদি রাজ পরিবারের ওপর। ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাশোগি নিহত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে সফরে বেরিয়েছেন যুবরাজ।
তিউনেশীয় সরকারের একজন মুখপাত্র সাইদা কুরাইশ বলেন, এমবিএস নামে পরিচিত মোহাম্মদ বিন সালমান আগামী ২৭ নভেম্বর দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার শেষ বেলায় আবুধাবি গিয়েছেন এমবিএস। এর পর বাহরাইন ও মিসরসহ মধ্যপ্রাচ্যের আরও কয়েকটি দেশ ভ্রমণের কথা রয়েছে তার।
খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর ব্যাপক আন্তর্জাতিক চাপের সময় যুবরাজের পাশে ছিল মিসর ও বাহরাইন। এ সফরে দেশদুটির নেতৃবৃন্দ তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবেন। চলতি মাসের শেষ দিকে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস আইরেসে গ্রুপ-২০ সম্মেলনেও অংশ নেবেন যুবরাজ। সেখানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানসহ বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে।
সৌদি রয়েল কোর্ট জানিয়েছে, বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের নির্দেশনায় এ সফরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতেই যুবরাজের এ সফর বলে জানিয়েছে দেশটি।
কুরাইশ বলেন, তিউনিশিয়া খাশোগি হত্যার নিন্দা জানিয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সত্য প্রকাশে ব্যাপারে জোর দিয়েছে তার দেশ। তিউনিশিয়ার মানবাধিকার কর্মীরা বলেন, যুবরাজের সফরের প্রতিবাদে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে কয়েক হাজার লোক জড়ো হয়ে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আল ইরদা পার্টির সাবেক নেতা তারেক কাহলাওয়ি বলেন, এটা তিউনিশিয়ার জন্য লজ্জা। যে দেশটি গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং স্বৈরাশাসক ও একনায়কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের সাক্ষী, সেই দেশ এমন একজন অপরাধীকে অভ্যর্থনা জানাবে, যার হাতে সৌদি ও ইয়েমেনি নাগরিকের রক্ত লেগে আছে।
বিরোধী দল পপুলার ফ্রন্ট পার্টির মুখপাত্র হাম্মা হাম্মামি বলেন, আমরা ইয়েমেন ধ্বংসকারীকে স্বাগত জানাবো না। এমন এক ব্যক্তিকে স্বাগত জানাতে পারি না, সাংবাদিক খাশোগিকে নির্মমভাবে হত্যার পেছনে যিনি রয়েছেন।
অ্যাম্বাসিতে এক খোলা চিঠি দিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীরা। তারা বলেছেন, তার সফর একটা লজ্জাজনক অধ্যায়। এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন তার সফর।
তথ্যসূত্র: আল জাজিরা।
এসএইচ/
আরও পড়ুন