ব্রেক্সিট ইস্যু: অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেন তেরেসা মে
প্রকাশিত : ০৯:৫১, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১১:৩১, ১৭ জানুয়ারি ২০১৯
শেষ পর্যন্ত টিকেই গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে ব্রেক্সিট চুক্তিতে মঙ্গলবার পরাজয়ের পর বুধবার অনাস্থা ভোটে টিকে গেলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তবে কানের গোড়া দিয়ে গেছে হার। মাত্র ১৯ ভোটের ব্যবধানে এ যাত্রায় গদি বাঁচল তেরেসার।
স্থানীয় সময় বুধবার রাত সাড়ে ৭টায় হাউস অব কমন্সে অনাস্থা ভোটে (বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টা) তেরেসার পক্ষে ভোট দেন ৩২৫ এমপি। আর বিপক্ষে ভোট দেন ৩০৬ এমপি। ফলে ১৯ ভোটে জয় নিয়ে টিকে থাকলেন থেরেসা মে।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতের একই সময় ব্রেক্সিট চুক্তিতে এমপিদের না ভোটের পরপরই তেরেসার বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব দেন বিরোধী লেবার পার্টিপ্রধান জেরেমি করবিন। কিন্তু এবারও শেষ খেলা খেলতে পারলেন না তিনি। তেরেসাই থাকলেন প্রধানমন্ত্রী, টরিদের দখলেই সরকার।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এ পরীক্ষায় ব্যর্থ হলে নির্ধারিত সময়ের তিন বছর আগেই যুক্তরাজ্যকে আরেকটি সাধারণ নির্বাচনে যেতে হত। এখন ব্রেক্সিট সংকট সমাধানের ভিন্ন পথ খুঁজতে হবে যুক্তরাজ্যকে।
এ দিকে, অনাস্থা ভোটে থেরেসা সরকার জিতলেও লেবার পার্টির প্রধান জেরেমি করবিন মন্তব্য করেছেন, থেরেসা ‘জোম্বি’ সরকার, কার্যত দেশ চালানোর অধিকার হারিয়েছে। এ প্রসঙ্গে লক্ষ্য করা যেতে পারে ভোটের ব্যবধানের দিকে। যে ১৯ ভোটের ব্যবধানে থেরেসা সরকার টিকে গেল, তার ভেতর রয়েছে ‘ডেমোক্র্যাটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টির’ (ডিইউপির) ১০ সংসদ সদস্যের ভোট। তারা যদি বিরুদ্ধে ভোট দিতেন, তাহলে পতন হতো থেরেসা সরকারের। সে ক্ষেত্রে থেরেসা সরকারকে বিদায় নিতে হতো এক ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে।
প্রসঙ্গত, প্রায় দু’বছরের টানা আলোচনা-দরকষাকষির পর গত মঙ্গলবার ইইউ থেকে বিচ্ছেদের পথরেখা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে তুলে ধরেন তেরেসা। ৬৫০ সদস্যের পার্লামেন্টে তা ৪৩২-২০২ ভোটে প্রত্যাখ্যাত হয়। এ দিকে, ব্রেক্সিটের সময় ঘনিয়ে আসছে। আগামী ২৯ মার্চের মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার কথা।
সূত্র: বিবিসি
একে//
আরও পড়ুন