ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

দ্বিতীয় বৈঠক হবে উত্তর কোরিয়ার জন্য বড় সুযোগ: ট্রাম্প

প্রকাশিত : ১২:৪৬, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সাথে আসন্ন দ্বিতীয় বৈঠক নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, এই বৈঠক হবে উত্তর কোরিয়ার জন্য একটি বড় সুযোগ। 

রোববার সিবিএস-এর সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ট্রাম্প বলেন, দ্বিতীয় বৈঠকের জন্য ইতোমধ্যে সময় এবং স্থানের ব্যাপারে একমত হয়েছি। খুব শিঘ্রই এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হবে।

তিনি বলেন, বৈঠক নির্দিষ্ট হয়েছে। আমি বৈঠকের জন্য অপেক্ষা করছি।  

মনে করা হচ্ছে ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে ভেনিজুয়েলায় ‘ট্রাম্প-কিম’ মধ্যকার দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। 

এর আগে গত বছরের জুন মাসে সিঙ্গাপুরে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কিম জং আনের মধ্যে যে ঐতিহাসিক বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকের পর থেকে এ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র মুক্ত করার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে সামান্যই অগ্রগতি হয়েছে।

এবার বৈঠকে আগের চুক্তির অস্পষ্টতা দূর করা সম্ভব হবে কি না, বিশ্লেষকদের অনেকে সেই প্রশ্ন তুলেছেন। কয়েক মাসের মধ্যে উত্তর কোরিয়ার দূত কিম ইয়ং চোলের ওয়াশিংটন সফরকে প্রথম পদক্ষেপ বা সামান্য অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

উত্তর কোরিয়ার দূত তাদের দেশের নেতা কিম জং উনের একটি চিঠি ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করেছেন। চিঠিতে কি আছে, কিম জং উন তার পদক্ষেপের কিছু জানিয়েছেন কি না, তা জানা যায়নি।

তবে ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের করার ব্যাপারে কিছু বিষয় থাকতে পারে। দ্বিতীয় শীর্ষ বৈঠকের কথা ঘোষণা করার পর সেই বৈঠকে আসলে কতটুকু কি হবে, তা নিয়ে নানা রকম আলোচনা শুরু হয়েছে।

উত্তর কোরিয়া তার পারমাণবিক অস্ত্রের তথ্য বা বিস্তারিত কিছু এখনও জানায় নি এবং অন্যদিকে দেশটির ওপর অবরোধ বহাল রয়েছে।

অন্যদিকে, কিম জং আন ব্যস্ত ছিলেন বিশ্বে তার ভাবমূর্তি তৈরির কাজে। তিনি প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়ার সাথে সম্পর্কের উন্নতি করেছেন।

দুই দেশ তাদের সীমান্তে সামরিক বাহিনীর তল্লাশি চৌকিগুলো ধ্বংস করেছে এবং দুই নেতা একে অপরের দেশে সফর করেছেন। উত্তর কোরিয়া এবং চীনের মধ্যেও সম্পর্ক আরও উন্নত হয়েছে।

প্রথম চুক্তি স্বাক্ষরের পর ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে রাজি হয়েছে। কিন্তু অনেক বিশ্লেষক দেড় পৃষ্ঠার স্বাক্ষরিত চুক্তিটিকে অস্পষ্ট এবং সারবস্তুহীন বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।

তাদের বক্তব্য ছিল, চুক্তিতে পারমাণবিক অস্ত্র মুক্ত করার উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট করে কোন সময় দেওয়া নাই।

উত্তর কোরিয়ার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কথা বললে, সেটা তথ্য প্রমাণ দিয়ে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার বিষয় ঐ চুক্তিতে ছিল না।

এখন দ্বিতীয় বৈঠক সামনে রেখে অনেকে আশা করছেন, এবার বিষয়গুলো সুনির্দিষ্টভাবে আসতে পারে। সেটা না হলে আবারও বিষয়গুলো অস্পষ্ট থেকে যাবে।

তথ্যসূত্র: বিবিসি ও আল জাজিরা

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি