ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

সবচেয়ে বেশি মাংস খায় যে দেশের মানুষ

প্রকাশিত : ২০:১৫, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বর্তমান বিশ্বের অনেকেই এখন মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিচ্ছেন বা খাবারের তালিকা থেকে এই মাংসকে একেবারেই বাদ দিচ্ছেন। খাবারের তালিকা থেকে মাংস বাদ দেওয়া এসব লোকের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে।

নানা কারণেই তারা মাংস খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছেন যার মধ্যে রয়েছে- স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা, পরিবেশ রক্ষা আবার অনেকে পশুপাখির জীবনের কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।

বলা হচ্ছে, ব্রিটেনে প্রতি তিনজনের একজন অঙ্গীকার করছেন যে তারা মাংস খাওয়া একেবারেই বাদ দিয়েছেন কিম্বা কমিয়ে দিয়েছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সংখ্যা প্রতি তিনজনে দু`জন।

মাংস খাওয়া কমিয়ে দেওয়ার জন্যে সম্প্রতি সারা বিশ্বে একটি প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রত্যেক সোমবারকে বিবেচনা করা হচ্ছে মাংস-মুক্ত দিন হিসেবে। বলা হচ্ছে অন্তত এই দিনটিতে যেন লোকজন মাংস কিম্বা যেকোনো ধরনের প্রাণীজাত খাদ্য পরিহার করেন। সংবাদ মাধ্যম ও বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকেও কম মাংস খাওয়ার উপকারিতা তুলে ধরা হচ্ছে। কিন্তু প্রতিনিয়ত বাড়ছে এ মাংস খাওয়ার পরিমান। বিশ্বে জন্যসংখ্যা বৃদ্ধি ও মানুষের আয় বাড়ার কারণে এ মাংস খাওয়ার পরিমান বাড়ছে।

সারা বিশ্বে এই প্রবণতা খুঁজতে গিয়ে ২০১৩ সালের হিসেবই পাওয়া যায় সবশেষ। তাতে দেখা যাচ্ছে এক বছরে কোন দেশে কতো মাংস খাওয়া হয় সেই তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া।

তারপরেই রয়েছে নিউজিল্যান্ড ও আর্জেন্টিনা। এই দুটো দেশে একজন ব্যক্তি বছরে ১০০ কেজির বেশি মাংস খায়, যা প্রায় ৫০টি মুরগি কিম্বা একটি গরুর অর্ধেকের সমান।

অবশ্য মাংস খাওয়ার এই উচ্চ হার চোখে পড়বে পশ্চিমা বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশেই। পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোতে একজন মানুষ বছরে ৮০ থেকে ৯০ কেজি মাংস খেয়ে থাকেন। কিন্তু এর বিপরীত চিত্র পাওয়া যাবে গরিব দেশগুলোতে। সেসব দেশের লোকজনের মাংস খাওয়ার পরিমাণ খুবই কম।

ইথিওপিয়ায় একজন ব্যক্তি বছরে গড়ে প্রায় সাত কেজি, রোয়ান্ডায় আট কেজি এবং নাইজেরিয়াতে ৯ কেজির মতো মাংস খেয়ে থাকেন।
ইউরোপের একজন নাগরিক গড়ে যতো মাংস খান এসব দেশের মানুষের মাংস খাওয়ার পরিমাণ তার দশগুণ কম। নিম্ন আয়ের বেশিরভাগ দেশগুলোতেই মাংস এখনও একটি বিলাসবহুল খাদ্য।

সূত্র-বিবিসি

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি