ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শান্তির পথে একসঙ্গে চলার আহ্বান জানালেন পোপ

প্রকাশিত : ১২:২৯, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১২:৩১, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

খ্রিস্টান ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান যাজক হিসেবে এই প্রথম আরবের মাটিতে পা দিলেন পোপ ফ্রান্সিস।  গত রোববার রাতে আবুধাবি পৌঁছেছেন তিনি। আবুধাবিতে তার এ সফরের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে শান্তির পথে একসঙ্গে চলা এবং একসঙ্গে আলোচনার নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করা।

মঙ্গলবার আবুধাবি স্টেডিয়ামে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের এক বিশাল সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার কথা রয়েছে তার। মসুলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) প্রায় ১০ লাখ খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী বসবাস।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাংবাদিকদের ধারণা, পোপের উপস্থিতিতে আবুধাবি স্টেডিয়ামে মানুষের ঢল নামবে। আরব আমিরাতের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এক লাখ ৩৫ হাজার খ্রিস্টান উপস্থিত থাকবে। পোপের সমাবেশে উপস্থিত থাকার জন্য এরই মধ্যে তারা টিকিট সংগ্রহ করেছে।

দু’দিনের সফরে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি পৌঁছেই যুদ্ধ শেষের বার্তা দিলেন পোপ ফ্রান্সিস। খ্রিস্টান ও মুসলিম ধর্ম নিয়ে এক দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যোগ দেওয়ারও কথা রয়েছে তার।

ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধে সে দেশের সরকারের পক্ষে হুথি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়ছে আমিরশাহিও। গত চার বছরে অন্তত দশ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। অন্য দিকে, কাতারের সঙ্গেও কূটনৈতিক সংঘাত চলছে আমিরশাহির।

আবুধাবিতে পা দিয়েই যুদ্ধ-পরিস্থিতি নিয়ে সরব হন পোপ। আবেদন জানান, ইয়েমেনে দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা গৃহযুদ্ধের এ বার অন্তত অবসান ঘটুক। তার জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোকে এগিয়ে আসতে বলেছেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এই দীর্ঘ সংঘর্ষে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে মানুষ। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত শিশুরা। ইয়েমেনের খাদ্যসঙ্কট চরমে পৌঁছেছে।’

সংযুক্ত আরব আমিরশাহির বিদেশ মন্ত্রী আনোয়ার গারগাশ বলেন, ‘মানবতার গভীর মূল্যবোধ বয়ে এনেছে পোপের এই সফর। বন্ধুত্ব ও সহিষ্ণুতার নজির গড়ল আমাদের দেশও।’

তথ্যসূত্র: বিবিসি ও এএফপি

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি