মমতার নৈতিক জয়
প্রকাশিত : ১৭:০৭, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
সিবিআই-পুলিশ সংঘাত মামলায় মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ‘নৈতিক জয়’ বলে অভিহিত করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি জানালেন, ‘এই জয় সকলের জয়৷ এই জয় সাধারণ মানুষের জয়৷ দেশবাসীর জয়৷’ আবারও তিনি অভিযোগ করলেন, বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে কেন্দ্র৷ রাজ্যের প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চলছে।
এ দিন ধরনা মঞ্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানান তৃণমূল নেত্রী৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিচারব্যবস্থা উপরে ভরসা রেখেছিলাম৷ রায় আমাদের পক্ষেই হয়েছে৷ আমি খুব খুশি। আমরা কখনও বলিনি, তদন্তে সহযোগিতা করব না৷ কোনও নিরপেক্ষ স্থানে আলোচনার জন্য সিবিআইয়ের কাছে ৫ টা চিঠি পাঠিয়েছিল রাজীব৷ কিন্তু সিবিআই কোনও রকমের আলোচনায় তখনও রাজি হয়নি৷ এই লড়াই শুধু রাজীবের নয়৷ এটা জনতার লড়াই৷ এই জয়, সংবিধানের জয়৷ আমি একা নই, আমার সঙ্গে গোটা দেশ আছে৷’’ তৃণমূল নেত্রীর আরও অভিযোগ, দেশে বেনজির সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়েছে৷ সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে কেন্দ্র৷
মদন মিত্র থেকে শুরু করে শ্রীকান্ত মোহতা – এর আগে যতবারই রাজ্যের শাসকদলের নেতা বা শাসক ঘনিষ্ঠদের সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে, ততবারই ওড়িশায় নিয়ে গিয়ে জেরা করেছে৷ এ দিন সে বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল নেত্রী৷ জানতে চান, ‘‘বারবার গ্রেপ্তার করে ওড়িশায় কেন? এটার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে৷’’ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন , আপাতত এই ধরনা চলবে৷ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করা হবে৷
এদিনের ধরনা মঞ্চ থেকে বিজেপির দুই নেতার বিরুদ্ধে চিটফাণ্ড মামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও অসমের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা চিটফাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন৷ কিন্তু সিবিআইয়ের নজর পড়েনি এঁদের উপর। এমনকী জেরা করাও হচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার থেকে যে ধরনা শুরু করেছেন, তাকে সমর্থন জানিয়েছেন দেশের অন্যান্য বিরোধীরা৷ কলকাতায় এসে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গিয়েছেন কানিমোঝি থেকে তেজস্বী যাদব৷ এই ধরনা মঞ্চই আসন্ন লোকসভায় বিরোধী জোটকে আরও পোক্ত করবে বলে অনুমান রাজনৈতিক মহলের৷ যদিও এই বিরোধী জোটকে বারবারই কটাক্ষ করেছে বিজেপি৷ প্রশ্ন করেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?’ এ দিনের মঞ্চ থেকে বিজেপির সেই কটাক্ষের জবাবও দেন তৃণমূল নেত্রী৷ বলেন, ‘‘ এটা মানুষের জোট৷ এই জোটে দেশের সব মানুষ প্রধানমন্ত্রী৷ কোনও একজন নেতা নয়৷ এখানে সবাই নেতা৷’’ পাশাপাশি, সোমবার নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বিজেপি অভিযোগ করেছে, এ রাজ্যে তাঁদের সভার অনুমতি দিচ্ছে না প্রশাসন৷ মঙ্গলবার ধরনা মঞ্চ থেকে বিজেপির এই অভিযোগ উড়িয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বলেন, ‘‘এত লোক মিটিং করে গেল৷ এখন বলছে মিটিং করতে দিচ্ছি না৷ মিথ্যাবাদী সব৷’’ সংবাদ প্রতিদিন
এসি
আরও পড়ুন