ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

শান্তি বজায় রাখুন, ভারতকে পাকিস্তান

প্রকাশিত : ০৯:০২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১২:২১, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

শাহ মাহমুদ কোরেশি

শাহ মাহমুদ কোরেশি

দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি বজায় রাখার জন্য চেষ্টা চালাতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কোরেশি। ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রন্ত্রী এ অঞ্চলে অর্জিত রাজনৈতিক সাফল্যকে বিনষ্ট না করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি ভারতে আসন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য সম্প্রতি কাশ্মিরে আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনাসহ নানা অজুহাত ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি আহ্বান জানান।

গত সপ্তাহে কাশ্মিরে সিআরপিএফের গাড়ি বহরে হামলার পর ভারতীয় কর্মকর্তাদের আক্রমণাত্মক ভাষায় বক্তব্য বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেছেন।

ইরানের সিস্তান বালুচিস্তান প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলার পরের দিন ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরেও একই ধরনের হামলার পর আবারো পাকিস্তানে আশ্রয় নেওয়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। এ অঞ্চলের দেশগুলোর অধিকাংশ বিশ্লেষকের মতে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই`র ছত্রছায়ায় এসব উগ্র গোষ্ঠীগুলো তৎপরতা চালাচ্ছে।

ভারতের কর্মকর্তারা গত এক সপ্তাহে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বহুবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ভাষায় কথা বলেছেন এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সহায়তা দেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে অভিযুক্ত করেছেন।

নয়াদিল্লি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলায় ৪৪ জন সিআরপিএফ সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনায় ইসলামাবাদের হাত রয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন, তারা এর কঠিন জবাব দেবে এবং ভারতে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার সুযোগ পাকিস্তানকে দেয়া হবে না।

ভারতের রাজধানী দিল্লির পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান সামির সারান জার্মানির মিউনিখে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা সম্মেলনের অবকাশে বলেছেন, "কাশ্মিরে সন্ত্রাসী হামলার পর পাকিস্তানে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় হামলা চালাতে পারে ভারত।"

ভারতের পক্ষ থেকে প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ নেয়া হতে পারে বলে পাকিস্তান আশঙ্কা করছে। এ কারণে পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘে লেখা চিঠিতে নিরাপত্তা পরিষদকে মধ্যস্থতা করার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে এ অঞ্চলে শান্তি রক্ষার জন্যও ভারতের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, শান্তি বজায় রাখতে চেষ্টা চালানোর জন্য ভারতের প্রতি পাকিস্তানের আহ্বান যদিও যথোপযুক্ত কিন্তু একইসময়ে ইরান ও ভারতে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার পর সবার দৃষ্টি এখন পাকিস্তানের দিকে। এ অবস্থায় সন্ত্রাসীদের উৎখাতের জন্য পাকিস্তান সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে ইরান ও ভারত আশা করছে।

বাস্তবতা হচ্ছে, এ অঞ্চলে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর উপস্থিতি ও তাদের প্রতি সমর্থন কাশ্মির সমস্যার কোনো সমাধান তো করবে না বরং আঞ্চলিক নিরাপত্তা বিনষ্ট হবে। আর এ পরিস্থিতির সুযোগ নেবে সৌদি আরব যারা কিনা উগ্র তাকফিরি সন্ত্রাসীদের সমর্থন দেয়ার মধ্যে নিজেদের স্বার্থ দেখতে পায়।

তথ্যসূত্র: পার্সটুডে

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি