ভারতীয় হামলা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীরা যা বললেন
প্রকাশিত : ২৩:১৪, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ২৩:১৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

মঙ্গলবার ভোর রাতে পাকিস্তানের সীমা অতিক্রম করে ভারতীয় বিমান জইশ ই মোহাম্মদের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছে ভারত।
পাকিস্তান বলছে, বালাকোটের যেখানে হামলা চালানো হয়েছে সেখানে জইশ ই মোহাম্মদের কোন ঘাটি নেই। বরং ভারতীয় বিমান তাদের তাড়া খেয়ে খোলা মাঠেই বোমা ফেলে পালিয়ে গেছে।
ওই বালাকোট এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি।
তারা জানিয়েছেন, যখন হামলা চালানো হয় তখন বেশিরভাগ মানুষই ঘুমিয়ে ছিলেন। অনেকের ঘুম ভেঙে যায় আক্রমণের আওয়াজে।
বালাকোটের জাবা টপের বাসিন্দা মুহম্মদ আদিল বলেছেন, "ভোর তিনটার দিকে হঠাৎই প্রচণ্ড আওয়াজ হতে থাকে। মনে হয় যেন ভূমিকম্প হচ্ছে। আর ঘুম আসে নি। কিছুক্ষণ পরে জানতে পারি বোমা পড়েছে।"
আদিল আরও জানিয়েছেন যে একসঙ্গে পাঁচটা বিস্ফোরণ হয়েছে। কিছুক্ষণ পরে অবশ্য আর আওয়াজ পাওয়া যায় নি।
"সকাল হওয়ার পরে আমরা ওই জায়গাটায় গিয়েছিলাম, যেখানে বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মনে হচ্ছিল। বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে সেখানে। কয়েকটা বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একজন ব্যক্তিকে জখম অবস্থায় দেখতে পেয়েছি," জানাচ্ছিলেন আদিল।
বালাকোটেরই আরেক বাসিন্দা ওয়াজিদ শাহও জানান, তিনিও একসঙ্গে বেশ কয়েকটা বিস্ফোরণের আওয়াজ শুনতে পেয়েছিলেন।
"আওয়াজ শুনে মনে হচ্ছিল যেন অনেকগুলো রাইফেল থেকে একসঙ্গে ফায়ার করা হচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে আর শব্দ পাই নি," বলেন তিনি।
বালাকোট এলাকাটি খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মনশেরা জেলায়। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার দূরে।
২০০৫ সালে কাশ্মীরে যে ভূমিকম্প হয়েছিল, তাতে বালাকোট সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। বেশ কয়েকবছর সময় লেগেছিল শহরটাকে আবারও গড়ে তুলতে। সৌদি আরব এই শহর পুনর্গঠনে যথেষ্ট সাহায্য করেছিল।
ভূমিকম্পে বালাকোটের ১২টি ইউনিয়ন কাউন্সিল এলাকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, ধ্বংস হয়েছিল প্রায় ৪০ হাজার ঘরবাড়ি।
পাহাড়ি এলাকা বালাকোট তার নিসর্গ দৃশ্যের জন্য বিখ্যাত। কুনহর নদীর তীরে এই বালাকোট শহরটির সাংস্কৃতিক আর ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটও রয়েছে। সিন্ধু সভ্যতার চারটি যে প্রাচীন অঞ্চল ছিল, বালাকোট তারই অন্যতম। বিবিসি বাংলা
এসি
আরও পড়ুন