জইশ প্রধান মাসুদ আজহার নিহত?
প্রকাশিত : ০০:১০, ৪ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ০০:১১, ৪ মার্চ ২০১৯
মোস্ট ওয়ান্টেড জইশ জঙ্গি প্রধান মাসুদ আজহারের মৃত্যু হয়েছে— রবিবার দুপুর থেকেই এমন একটা জল্পনা শুরু হয়ে যায় ভারত-পাকিস্তান দুই দেশেই। সোশ্যাল মিডিয়াতে বিভিন্ন টুইট এবং ফেসবুক পোস্টে এ রকম জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। একাধিক পোস্টে দাবি করা হয়েছে, ওই জঙ্গি নেতার মৃত্যু হয়েছে।
ভারতের একাধিক টেলিভিশন চ্যানেলেও এ দিন বিকেল থেকে জঙ্গি নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। তবে তাঁরাও কোনও সূত্র উল্লেখ করেননি। অন্য কোনও সূত্র থেকেও সেই দাবির সমর্থনে কোনও নিশ্চয়তা মেলেনি। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত পাক সংবাদ মাধ্যমে এ বিষয়ে কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ভারতের গোয়েন্দাদের একাংশের আশঙ্কা, পাক গোয়েন্দারা পরিকল্পিত ভাবে এই মৃত্যু সংবাদ ছড়ানোর চেষ্টা করছেন।
সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-ও তাদের রিপোর্টে সোশ্যাল মিডিয়াতে মাসুদ আজহারের মৃত্যু নিয়ে জল্পনার কথা উল্লেখ করেছে। ক’দিন আগেই পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন যে মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই আছেন। তিনি অত্যন্ত অসুস্থ এবং বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন না বলে জানিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে পুলওয়ামা হামলার পরেও ভারতীয় গোয়েন্দাদের একাংশ দাবি করেছিল যে দীর্ঘদিন ধরেই মোস্ট ওয়ান্টেড মৌলানা মাসুদ আজহার কিডনির অসুখে ভুগছেন এবং কার্যত শয্যাশায়ী।
গোয়েন্দারা এর আগে পুলওয়ামার ফিদায়েঁ হামলাকারী যুবক আদিল দারকে পাঠানো মাসুদ আজহারের যে অডিয়ো ক্লিপ উদ্ধার করেছিল, সেই অডিয়োতে মাসুদের কণ্ঠস্বর খুব ক্ষীণ শোনা গিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন সেনা গোয়েন্দাদের একাংশ। ভারতের অন্য একটি গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরে পাক সেনা হাসপাতালে ডায়ালিসিস চলছিল ওই জঙ্গি নেতার। কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল দাবি করেছে, শনিবারই মৃত্যু হয়েছে মাসুদের। প্রায় ষাট বছর বয়সী মাসুদ আজহারের মৃত্যু নিয়ে ভারতীয় গোয়েন্দারা এখনও সুনির্দিষ্ট ভাবে কোনও তথ্য দেননি।
তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক জায়গাতেই দাবি করা হয়েছে, বালাকোটের বিমান হানাতেই জখম হন ওই জইশ নেতা। তারপরই তিনি ভেন্টিলেশনে চলে যান। তবে সেই তথ্যের সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন আছে। কারণ অনেক বিশেষজ্ঞেরই ধারণা যে পুলওয়ামার ঘটনার পর ভারত যে কোনও সময় পাল্টা হানা দিতে পারে, এই আশঙ্কা ছিল। সেখানে মাসুদের মত শীর্ষ নেতা কেন বালাকোটে যাবেন। তিনি আরও নিরাপদ কোথাও থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের একাংশ মনে করছেন, খুব পরিকল্পিত ভাবেই ভারতীয় গোয়েন্দাদের বিপথে চালিত করতে পাক গোয়েন্দা সংস্থা এবং জইশ মাসুদের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে দিয়েছে। কারন এর আগেও আল কায়দার শীর্ষ নেতা আল জাওয়াহিরির বিভিন্ন সময়ে মৃত্যু সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। পরে অডিয়ো বার্তা দিয়ে সেই মৃত্যু সংবাদ খারিজ করেছিল আল কায়দা। তাই সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। আনন্দবাজার
এসি
আরও পড়ুন