ব্রেক্সিট দ্বন্দ্ব
তৃতীয় দফা ভোটে এমপিদের সমর্থন চান মে
প্রকাশিত : ১৫:৫১, ১৮ মার্চ ২০১৯
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আগামী সপ্তাহে বেক্সিট ইস্যুতে তৃতীয় দফা ভোট নিতে চান। ওই ভোটে ব্রিটিশ এমপিদের সমর্থন আশা করছেন তিনি। তবে আগেই যদি বুঝতে পারেন ভোটে ব্যর্থ হবেন, তবে তৃতীয় দফার ভোট বাতিলও করতে পারেন মে।
এর আগে চলতি সপ্তাহে এমপিরা ব্রেক্সিট চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে ও ব্রেক্সিটকে বিলম্বিত করার পক্ষে ভোট দেওয়ার পর মে ব্রেক্সিট ইস্যু সমঝোতার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, এই চুক্তি ব্যর্থতার অর্থ হলো যুক্তরাজ্য আর কখনও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বের হতে পারবে না। রোববার টেলিগ্রাফে তার এক লেখা থেকে এ তথ্য প্রকাশ পায়।
ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে ব্রিটেনের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অনৈক্য আর অভ্যন্তরীণ কোন্দল শুরু হয়েছে। সরকারের মন্ত্রিসভায়ও ব্রেক্সিটের কৌশল নিয়ে মতবিরোধ স্পষ্ট।
সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি পাস করাতে পারেননি মে। ফলে চুক্তি ছাড়া বিচ্ছেদ কার্যকরেরও সমর্থন পাননি তিনি। তাই ২৯ মার্চ ব্রেক্সিট কার্যকর হবে বলে যে দিনক্ষণ নির্ধারিত রয়েছে, শেষ সময়ে এসে তা পিছিয়ে দেওয়ার আলোচনা শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে।
২০১৬ সালের ২৩ জুন যুক্তরাজ্যে এক গণভোটে ইইউর সঙ্গে দেশটির চার দশকের সম্পর্কচ্ছেদের রায় হয়। ভোটে হারের পর রক্ষণশীল দলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন পদত্যাগ করলে থেরেসা মে সেই দায়িত্ব নিয়ে বিচ্ছেদের পথরেখা তৈরির প্রক্রিয়া শুরু করেন।
রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক এই জোট থেকে কোন প্রক্রিয়ায় যুক্তরাজ্য আলাদা হবে এবং এরপর ইইউভুক্ত বাকি ২৭টি রাষ্ট্রের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের সম্পর্ক কেমন হবে, সেই পথ বের করার জন্য সময় নেওয়া হয় ২১ মাস।
আগামী ২৯ মার্চ সেই সময়সীমা উত্তীর্ণ হওয়ার আগে যুক্তরাজ্যকে তার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে হবে। সেই লক্ষ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে দীর্ঘ দর কষাকষির মাধ্যমে ব্রেক্সিট চুক্তির একটি খসড়া তৈরি করেন মে। কিন্তু গত জানুয়ারিতে পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে তা বিপুল ভোটে বাতিল হয়ে যায়।
নর্দান আয়ারল্যান্ডের আঞ্চলিক দল ডেমোক্রেটিকস ইউনিয়নিস্ট (ডিইউপি) পার্টির সমর্থন নিয়ে সরকারে আছে কনজারভেটিভ দল। ডিইউপি বেকস্টপ ব্যবস্থার ঘোর বিরোধী। একইভাবে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের কট্টর ব্রেক্সিটপন্থিরাও এই বেকস্টপ ব্যবস্থার বিরোধী।
বেকস্টপ ব্যবস্থা চিরস্থায়ী হবে না- এমন প্রতিশ্রুতি আদায় করে ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী মে চুক্তিটি আবারও সংসদে তোলেন। কিন্তু তা সমালোচকদের কাছে যথেষ্ট মনে হয়নি। এদিন ১৪৯ ভোটের ব্যবধানে চুক্তিটি প্রত্যাখ্যাত হয়। কনজারভেটিভ দলের ৭৫ জন এবং ডিইউপির ১০ জন সাংসদ চুক্তির বিপক্ষে ভোট দেন।
এরপর আইনপ্রণেতারা জানিয়ে দেন কোনো অবস্থাতেই তারা চুক্তি ছাড়া বিচ্ছেদ চান না। পরদিন বৃহস্পতিবার আরেক ভোটাভুটিতে বিচ্ছেদের সময় পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে রায় দেন আইনপ্রণেতারা।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
এমএইচ/
আরও পড়ুন