নির্বাচনের আগে ভুয়া খবর রোধে লড়ছে ভারত
প্রকাশিত : ১১:১১, ৩০ মার্চ ২০১৯
ভারতের ষোড়শ লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে আগামী ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে পর্যন্ত৷ স্বাভাবিকভাবেই শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত সব রাজনৈতিক দল৷ কিন্তু প্রচার-অপপ্রচারের মাঝে আটকানো যাবে কি ভুয়া খবর?
গত সপ্তাহে ভারতের নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল ও টিকটক-এর মতো ইন্টারনেট অ্যাপ্লিকেশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুই দিনব্যাপী বৈঠক করেন৷
নির্বাচনি প্রচারের নাম করে যাতে এই সমস্ত জনপ্রিয় অ্যাপের মাধ্যমে ভুয়া খবর না ছড়ায়, তা আলোচনা করার উদ্দেশ্যেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে৷
ভারতের প্রধান নির্বাচন কমিশনার সুনিল অরোরা বলেন, ‘আমরা চাই যাতে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে একটি নির্দিষ্ট আচরণবিধি রাখা হয়, যাতে করে এই অ্যাপগুলোকে ভুল খবর ছড়াতে ব্যবহার না করা যায়৷’
উল্লেখ্য, বর্তমানে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘অনলাইন মার্কেট’, যেখানে মোট ৪৬ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করেন৷ ফলে অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যমের গুরুত্ব ভোটের বাজারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ শুধু তাই নয়, দেশটিতে এর আগে সামাজিক মাধ্যমে করা পোস্টকে ঘিরে ঘটেছে একাধিক সহিংসতার ঘটনা৷
কীভাবে চিনবেন ভুয়া খবর?
ভারতের তথ্যনির্ভর সংবাদ সংস্থা ‘অল্ট-নিউজ’-এর প্রতিষ্ঠাতা প্রতীক সিনহা বলেন, ‘কাজটি মোটেও সহজ নয়৷ ভোটের সময় বলে নয়, এই কাজ অনেক আগেই শুরু করা উচিত ছিল।’
সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন বলছে, ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির নিয়ন্ত্রণে বর্তমানে দুই থেকে তিন লাখ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ রয়েছে৷ অন্যদিকে, কংগ্রেসের নিয়ন্ত্রণে থাকা গ্রুপের সংখ্যা ৮০ হাজার থেকে এক লাখ৷
হোয়াটসঅ্যাপকে দলীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করতে নতুন উপায় ভাবা হচ্ছে, যার সাহায্যে জানা যাবে গ্রুপে ছড়ানো ছবির আসল উৎস৷ এমনটাই জানালেন হোয়াটসঅ্যাপের ভারত অঞ্চলের প্রধান কর্মকর্তা অভিজিৎ বোস৷
ফেসবুকের প্রতিনিধি শিবনাথ ঠাকরাল জানান, আগামী কয়েক মাস নির্বাচন কমিশনসহ একাধিক তথ্যনির্ভর সংবাদ সংস্থা ও গবেষক দলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কাজ করবেন তারা, যাতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কোনও ভুয়া খবর ছড়ানো না যায়৷
অনলাইন মাধ্যমের আগমনে ভারতে বদলেছে রাজনৈতিক প্রচারের ধরন, বেড়েছে ভুয়া খবরের কোপ৷ কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনে ভুয়া খবর ঠেকাতে নতুন আচরণবিধির দাবি আদৌ সফল হবে কি না, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন জিগনেশ তিওয়ারি’র মতো অনেক ডিজিটাল অ্যানালিস্ট৷
সূত্র: ডয়চে ভেলে
একে//
আরও পড়ুন