ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

রক্ষা পেয়েছে ‘যিশুর মুকুট’

প্রকাশিত : ১৫:৪৯, ১৭ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১৬:১৯, ১৭ এপ্রিল ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

কাঁটার মুকুট। সকলে চেনেন ‘ক্রাউন অব থর্নস’ বলে। অনেকেই বিশ্বাস করেন, স্বয়ং যিশু খ্রিস্টের মাথায় ছিল সেই মুকুট। প্যারিসের নোত্র দামে রাখা থাকত প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী সেই মুকুট।

কাল যখন দাউদাউ করে জ্বলছে ক্যাথিড্রাল, অনেকেই আশঙ্কা করেছিলেন, ভিতরে হয়তো  পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে সেই মুকুট। তবে সেই আশঙ্কা সত্যি হয়নি শেষমেশ।

প্যারিস শহরের মেয়র অ্যান হিদালগো সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, রক্ষা করা গিয়েছে ‘ক্রাউন অব থর্নস’-কে। শুধু ওই মুকুটই নয়। প্রাচীন, ঐতিহ্যবাহী অজস্র দুর্মূল্য শিল্প সামগ্রী আর স্মারকে ঠাসা ছিল ওই ক্যাথিড্রাল। যার বেশির ভাগই উদ্ধার করা গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র।

তালিকায় রয়েছে সন্ত লুইয়ের টিউনিক, রোজ় উইন্ডোজ (চতুর্দশ শতকের নকশা করা তিন থাকের কাচের জানলা), ক্যাথিড্রালের মূল ঘণ্টা। কাঠের যে ক্রশে যিশুকে বিদ্ধ করা হয়েছিল বলে মনে করা হয় তার টুকরোও রাখা থাকত নোত্র দামে।

সেটিও সুরক্ষিত বলে জানা গিয়েছে। বাঁচানো সম্ভব হয়েছে ‘গ্রেট অরগ্যান’কেও। প্যারিস সিটি হলের মুখপাত্রও আলাদা করে জানিয়েছেন, নোত্র দামে রাখা বেশির ভাগ মূল্যবান স্মারক ও শিল্পকর্মই আগুনের গ্রাস থেকে বাঁচানো গিয়েছে।

কিন্তু হোলি নেলস বা পবিত্র নখ আদৌ সুরক্ষিত কি না, তা জানা যায়নি আজ। একই ভাবে জানা যায়নি ক্যাথিড্রালে রাখা ‘ট্রু ক্রস’ কী অবস্থায় রয়েছে। কালকের আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্যাথিড্রালের স্থাপত্যও।

যদিও টুইন বেল টাওয়ারের কোনও ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা। ক্যাথিড্রালের এই দুই স্থাপত্য আইফেল টাওয়ার তৈরির আগে পর্যন্ত প্যারিস শহরের সর্বোচ্চ সৌধ ছিল।

আগুনের পরে খোঁজ নেই বেশ কিছু শতাব্দী প্রাচীন ছবিরও। যার মধ্যে রয়েছে ১৬৩০ সাল থেকে ১৭০৭ সালের মধ্যে আঁকা ৭৬টি ছবির একটি সমগ্র। মাদার মেরির জীবনী-চিত্রটিও সুরক্ষিত রয়েছে কি না, জানা যায়নি রাত পর্যন্ত।                              

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি