বাংলাদেশ-মিয়ানমার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ মিটিং ৩ মে
প্রকাশিত : ১৫:৩৬, ১৯ এপ্রিল ২০১৯
আগামী ৩ মে নেপিডোতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে তাদের পরবর্তী জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ (জেডব্লিউজি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর নিরাপদ প্রত্যাবাসনে এ পর্যন্ত যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে সে বিষয়ে আলোচনা হবে।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরবর্তী বাংলাদেশ-মিয়ানমার জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ বৈঠক ৩ মে তাদের রাজধানীতে (নেপিডো) অনুষ্ঠিত হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আশিয়ানের তত্ত্বাবধানে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির জন্য ‘আশিয়ান প্লাস’ নামে আশিয়ানের কাছে ইতোমধ্যে একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তিনি বলেন, বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনকালে যাতে নিরাপদ বোধ করে তার জন্য আশিয়ানের সদস্যদেশগুলো ওই নিরাপদ অঞ্চলটি মনিটর করতে পারে।
তিনি বলেন, আসন্ন জেডব্লিউজি বৈঠকে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে ‘নিরাপদ অঞ্চল প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার বাংলাদেশের নিকট প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে তারা তাদের নাগরিকদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নেবে। তিনি বলেন, ‘তারা কয়েকবারই আমাকে আশ্বস্ত করেছে যে তারা ইতোমধ্যে যে রোহিঙ্গাদের সনাক্ত করেছে তারা তাদের ফিরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু করবে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেই কাজটি শুরু করা হয়নি।’
মন্ত্রী আরো বলেন, এমনকি মিয়ানমারের অভ্যন্তরে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পরিবেশও এখন পর্যন্ত সৃষ্টি করা হয়নি। তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের কারণেই রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে যথেষ্ট অগ্রগতি সাধনে সমর্থ হইনি। তারা (মিয়ানমার) এই সংকট সৃষ্টি করেছে এবং তাদের সহযোগিতা ছাড়া এই সমস্যার সমাধান করা কঠিন।’
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন কাজ শুরুর লক্ষ্যে ২০১৭ সালের ১৯ ডিসেম্বর একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। তাছাড়া ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর উভয় দেশ প্রত্যাবাসন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ থেকে ১২ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রিত রয়েছে। যারা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
টিআর
আরও পড়ুন