এ যেন রক্তের নদী
প্রকাশিত : ১৮:০২, ২১ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ২০:৫৭, ২১ এপ্রিল ২০১৯
শ্রীলঙ্কায় পর পর বোমা হামলায় ১৮৯ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকেই। তিনটি গির্জা ও হোটেলে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে আজ রোববার সকালে। একটি গির্জার কাছে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, এটা যেন রক্তের নদী। শুধু রক্ত আর রক্ত চার দিকে। শ্রীলঙ্কার জাতীয় হাসপাতালের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক সামিথী সমার্কার বলেছেন, রোববার বিকেলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৮৯ দাঁড়িয়েছে। ১১ জন বিদেশিও মারা গেছে এই হামলায়।
দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হয়েছে ইতোমধ্যে। তবে, এই হামলায় কারা জড়িত এখনও সেটা বলতে পারছে না দেশটির কর্তৃপক্ষ। শ্রীলঙ্কার পুলিশ এটা নিশ্চিত হয়েছেন যে, এটা একটা আত্মঘাতি হামলা।
এদিকে এ খবরে বেশ উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছেন শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ। নিহত ও আহতের মধ্যে বাংলাদেশি আছে কিনা তার খোঁজে তৎপর বাংলাদেশ দূতাবাস।
তিনি বলেন, বাংলাদেশিদের কারও কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে বা কারও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকলে আমাদের হাইকমিশনের কর্মকর্তা মোসা. মাহমুদা (+94712406313) এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করছি।
শ্রীলংকার পুলিশকে উদ্ধৃত করে দেশটির দ্য ডেইলি মিরর পত্রিকা জানিয়েছে, তিনটি গির্জায় অন্তত ছয়টি বিস্ফোরণ হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ‘রোববার সকাল পৌনে নটার দিকে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রাজধানী কলম্বো। ইস্টারের প্রার্থনার সময় তিনটি গির্জায় বিস্ফোরণ ঘটে। একই সঙ্গে তিনটি হোটেলেও পর পর বিস্ফোরণ ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।’
এখনো উদ্ধার কাজ চলছে বলেও জানায় পুলিশ। কলম্বোর কোচ্চিকাড়ের অ্যান্টলি গির্জা,কাতুয়াপিতিয়ার সেন্ট সিবেস্টিয়ান গির্জা-সহ একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণের ভয়াবহ শব্দ শোনা গিয়েছে।
ইতোমধ্যেই বিস্ফোরণের বিভিন্ন ছবি উঠে এসেছে টুইটার এবং সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে। তবে কোন জঙ্গি গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের পিছনে রয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷
তথ্যসূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস।
এসএইচ/
আরও পড়ুন