ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

‘মমতার কাছে গুণ্ডাতন্ত্রের শক্তি আছে’

প্রকাশিত : ১৫:৩০, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বললেন, দিদির কাছে ‘গুণ্ডাতন্ত্রের’ শক্তি আছে। আমাদের শক্তি ‘গণতন্ত্রের’। বুধবার বীরভূমের ইলামবাজারের সভায় এমন হুংকার দিলেন নরেন্দ্র মোদি।

অন্য দিকে এ দিনই রানাঘাটের সভা থেকে মোদির উদ্দেশে প্রশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ- ‘ভোট পুলিশ, ফোর্স, এজেন্সি দিয়ে হয় না। মানুষের বিশ্বাসে হয়। মানুষ আমাদের সঙ্গে।’

মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, নির্বাচন কমিশনও মোদির দলের প্রচারের সুবিধা দেখে ভোটের নির্ঘণ্ট তৈরি করেছে।

এ দিন রাজ্যের পৃথক পৃথক জায়গায় দুটি করে সভা করেন মোদি এবং মমতা। ইলমাবাজারের সভায় মোদি বলেন, দিদির কাছে যদি গুণ্ডাতন্ত্রের ক্ষমতা থাকে আমাদের হাতে গণতন্ত্রের শক্তি আছে। বাংলাকে তৃণমূলের গুণ্ডাগিরি থেকে মুক্তি দিয়েই ছাড়ব। ২৩ মে নির্বাচনের ফল বেরবে। সে দিন থেকেই রাজ্যে তৃণমূলের বিদায়ের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যাবে।

মোদির দাবি, এখনও পর্যন্ত যা ভোট হয়েছে তাতে মমতা বুঝে গেছেন পশ্চিমবঙ্গে তার সূর্য ডুবতে চলেছে।

রানাঘাটের সভায় মোদির আরও দাবি, যিনি এক দিন কমিউনিস্টদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন, তিনি এখন গুণ্ডাদের জন্য মমতা আর জনগণ এর জন্য নির্মমতা দেখাচ্ছেন।

অন্যদিকে শ্রীরামপুরের সভায় মোদিকে নিশানা করেন মমতা। সেখানে তার মন্তব্য, নোটবন্দি থেকে সব কিছুতে আমি প্রতিবাদ করেছি। তুমি যত কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাবে আমরা তত বেশি আসনে জিতব। চ্যালেঞ্জ করছি।

এর খানিক পরেই কৃষ্ণনগরের সভায় হিসাব দেখিয়ে মমতার দাবি, এখনও পর্যন্ত যা ভোট হয়েছে তাতে বিজেপি একটি আসনও পাবে না। বাংলায় ইতিমধ্যেই যে দশ আসনে নির্বাচন হয়েছে মোদিবাবু তাতে রসগোল্লা পাবেন। একই সঙ্গে তার কটাক্ষ, বিজেপিকে সুবিধা করে দিতেই নির্বাচন কমিশন বাংলায় দু’মাস ধরে ৭ দফার ভোটের ব্যবস্থা করেছে। যাতে মোদিবাবুরা সব জায়গায় সভা করতে যেতে পারেন।

গরমে সভা করতে হচ্ছে বলে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে তৃণমূলনেত্রীর দাবি, বাকি দেশে ভোট পাবে না বুঝেই জগাই-মাধাই (মোদি-অমিত শাহ) বার বার বাংলায় উড়ে উড়ে আসছেন।

মোদি অবশ্য দু’টি সভাতেই নির্বাচন কমিশনকে বাংলায় ভাল কাজ করার সংশাপত্র দিয়েছেন। তার মন্তব্য, বাংলায় নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে ভোট করাচ্ছে। তৃণমূলের গুণ্ডাদের রুখে দিচ্ছে, তা-ই কমিশনকেও গালি দিচ্ছেন মমতাদিদি। কেন্দ্রীয় বাহিনীর উদ্দেশে মোদির আশ্বাস, ‘আইন মেনে কাজ করবেন। জনতা এবং চৌকিদার আপনাদের সঙ্গে আছে।’

কৃষ্ণনগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী এ দিন দাবি করেন, বিজেপির নেতারা পশ্চিমবঙ্গকে চেনেন না। তারা বাংলাকে ভালবাসেন না। সে কারণেই দু’বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে ‘বাংলা’ করতে দিচ্ছে না কেন্দ্র। তার অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে দু’বার বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ হয়েছে। তবু কেন্দ্র ছাড়পত্র দেয়নি। শুধু তাই নয়, মোদিকে আক্রমণ করে মমতার মন্তব্য, কেবল ভোটের সময়েই মোদিবাবুদের বাংলার কথা মনে পড়ে। বন্যা, খড়া, সুখ-দুঃখে তাদের টিকিও দেখা যায় না।

সূত্র: আনন্দবাজার

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি