শ্রীলংকায় জঙ্গিদের গোপন আস্তানায় সেনা অভিযানে ২০ জন নিহত
প্রকাশিত : ১০:৫৩, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ | আপডেট: ১২:৪২, ২৭ এপ্রিল ২০১৯
শ্রীলংকার পূর্বাঞ্চলে জঙ্গিদের এক গোপন আস্তানায় নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান চলাকালে বিস্ফোরণে ছয় শিশুসহ কমপক্ষে ২০ জন নিহত হয়েছে।
সৈন্যরা সেখানে জঙ্গিদের একেবারে কোণঠাসা করে ফেললে তারা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের উড়িয়ে দিলে এসব প্রাণহানি ঘটে। পুলিশ শনিবার একথা জানায়। খবর এএফপি’র।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে কালমুনাই শহরের কাছের একটি ভবনে সেনা অভিযানকালে এর ভিতরে একাধিক বিস্ফোরণে তিন পুরুষ, তিন নারী ও ছয় শিশু নিহত হয়। ভবনটি জঙ্গিদের ঘাঁটি ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ভবনটির বাইরে থেকে অপর তিন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। তারা আত্মঘাতী হামলাকারী হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর মুখপাত্র সুমিথ আটাপাট্টু বলেন, সেনাবাহিনী একটি ঘরে ঢুকতে চাইলে বন্দুকধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করেন। আমাদের পাল্টা গোলায় দুই বন্দুকধারী নিহত হন। এছাড়া বন্দুকযুদ্ধের ভেতরে পড়ে এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
পরবর্তীতে পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার চূড়ান্ত অভিযানে গেলে নিহতদের মধ্যে চার সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রাজধানী থেকে ৩৭০ কিলোমিটার পূর্বে ইস্টার সানডের হামলাকারীরা লুকিয়ে আছে, এমন আভাস পাওয়ার পর সেনা ও পুলিশের একটি দল অভিযানে নামে।
নিরাপত্তা বাহিনী বাড়িটিতে অভিযানে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক ঘণ্টার লড়াই হয়েছে। ওই বাড়িতে ইসলামিক এস্টেট যোদ্ধারা আবু বকর আল বাগদাদীর প্রতি আনুগত্য জানিয়ে শপথবাক্য পাঠ করার ভিডিও করেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।
পুলিশ বলছে, তারা আইএসের একটি পতাকা ও বেশ কয়েকটি ইউনিফর্ম পেয়েছে। ভিডিওর ওই আট ব্যক্তি যে ইউনিফর্ম পরে ছিলেন, এগুলোও ঠিক দেখতে তেমনি।
এর মধ্যে দেশটিতে নিরাপত্তা বাড়াতে ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপলা সিরিসেনা বলেছেন, রোববারের ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তারা ১৪০ সন্দেহভাজনকে খুঁজছেন। এ হামলায় ২৫৩ জন নিহত ও পাঁচশতাধিক আহত হয়েছেন।
শুক্রবার কলম্বোয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, দেশে আইএসের তৎপরতা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা শ্রীলংকার রয়েছে।
এ হামলার ঘটনায় দেশটির মুসলমানদের যাতে সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচনা করা না হয়, দেশবাসীর কাছে সেই আহ্বানও তিনি জানিয়েছেন।
সূত্র, বাসস
টিআর/
আরও পড়ুন