ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

বাসচালক থেকে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট, কিন্তু কিভাবে?

প্রকাশিত : ০৯:১৫, ১ মে ২০১৯

বাসচালক থেকে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট হন নিকোলাস মাদুরো। কর্মজীবনের শুরুতে যখন তিনি বাসচালক ছিলেন, সে সময়ই শ্রমিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন।

ধীরে ধীরে তিনি শ্রমিকদের নেতৃত্বে আসেন। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে শ্রমিক রাজনীতি করেছেন। নিকোলাস মাদুরো ২০১৩ সালের এপ্রিলে খুবই কম ভোটের ব্যবধানে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

তবে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন বিতর্কিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। ২০১৮ সালের ২০শে মে সেই নির্বাচনে তিনি প্রায় ৬৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়।

ক্ষমতা নেওয়ার পরই তার বিরুদ্ধে গণতন্ত্র নস্যাৎ করা এবং মানবাধিকার লংঘনের গুরুতর বিভিন্ন অভিযোগ আসে। নিকোলাস মাদুরো বিরোধী মত সহ্য করেন না এবং তার কারণে সমাজে বিভক্তি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ রযেছে।

২০১৪ সাল থেকে মাদুরোর শাসনে ভেনিজুয়েলার অর্থনীতিতে চরম মন্দা দেখা দিয়েছে। মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যসংকট, সবকিছু মিলিয়ে দেশটির সাধারণ মানুষ চরম সংকটে পড়েছে।

ভেনিজুয়েলার পরিস্থিতি এমন অবস্থায় পৌঁছেছে যে, দেশটির হাজার হাজার নাগরিক পাশের দেশগুলোতে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। লাতিন আমিরিকার ইতিহাসে এত মানুষের নিজের দেশ ছেড়ে যাওয়ার ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।

নিকোলাস মাদুরো ২০১৭ সালের অগাষ্টে একটি জাতীয় সাংবিধানিক পরিষদ গঠন করে সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এনিয়ে ব্যাপক বিতর্ক হয়েছে।

তিনি একটা পর্যায়ে সবার ঐক্য এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু সেটা তার শক্তি বাড়ানোর কৌশল ছিল বলে তার বিরোধীরা মনে করেন।

ভেনিজুয়েলায় সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের নেতা হুগো চাভেজের খুবই ঘনিষ্ট হয়েছিলেন। চাভেজের সরকারে ঘটনা পরম্পরায় নিকোলাস মাদুরো পররাষ্ট্রমন্ত্রী হতে পেরেছিলেন ২০০৬ সালে।

সেই থেকে তিনি হুগো চাভেজের মৃত্যু পর্যন্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন মাদুরো। সে সময়ই তিনি চাভেজের ঘনিষ্ট হয়ে ওঠেন। তবে তাদের সম্পর্ক ছিল ৯০ এর দশক থেকে।

চাভেজের মৃত্যুর পর মাদুরো ক্ষমতার কেন্দ্রে চলে আসেন এবং অর্ন্তবর্তী সময়ের জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নেন। এরপর ২০১৩ সালে নির্বাচন করে অল্প ভোটের ব্যবধানে প্রথম মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।

নিকোলাস মাদুরো ১৯৯৮সালে ভেনিজুয়েলার জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার হন। সেই থেকে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু হয়।

তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়ার আগেও হুগো চাভেজের সরকারের সময়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

গত নির্বাচনের সময়ও মাদুরোর সমর্থকরা তার প্রচারণায় হুগো চাভেজের ছবি ব্যবহার করেছে। নিকোলাস মাদুরোর স্ত্রী একজন সিলিয়া ফ্লোরেস খুবই পরিচিত আইনজীবী ছিলেন। সিলিয়া ফ্লোরেসও হুগো চাভেজের প্রতিরক্ষা দলের সাথে ছিলেন।

তথ্যসূত্র: বিবিসি

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি