ভারতের ভোট দিতে পারবে না কোটি কোটি মুসলমান ও দলিতরা
প্রকাশিত : ১৯:২৯, ১১ মে ২০১৯
ভারতের নির্বাচন কমিশন সে দেশের অনেক মুসলমান ও দলিত শ্রেনীর নাগরিককে ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত করেনি।
একটি নির্বাচনি পর্যবেক্ষক সংস্থা বলছে, তালিকায় নাম না ওঠায় লোক সভা নির্বাচনে সে দেশের কোটি কোটি মুসলিম ও দলিত শ্রেণির সংখ্যালঘুরা ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে না। তবে কমিশন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছে, তারা নাগরিকদের তালিকাভুক্ত করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ নিয়েছে।
এ বছরের পার্লামেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে নেওয়া উদ্যোগের ফলে কোনও ভোটারই বাদ পড়বে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। ওই প্রক্রিয়ায় নির্বাচনি কর্মকর্তারা গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন আর বাসিন্দাদের ভোটের প্রক্রিয়া বুঝিয়ে দিয়েছেন। এসব বাসিন্দাদের অনেকেই নিরক্ষর। তবে যমুনা নদীর তীরে একটি অস্থায়ী কুড়ে ঘরে স্ত্রী আর পাঁচ সন্তান নিয়ে বসবাসকারী মুজাবির জানান, তার বাড়িতে কেউ আসেনি। বলেন, কোনও দলের লোকেরা এখানে আসে না। কেউ আমাদের খোঁজ নেয় না।
২০১৪ সালে সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছিলেন মুজাবির। ওই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর তার ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতায় এসেছিল। কিন্তু মুজাবিরের ধারণা, এবার তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। নিজের মতো ক্ষুদ্র কৃষকেরা ভারতের মূল রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিশ্রুতি থেকে কোনওভাবে লাভবান হতে পারবে, তেমন আশা নেই ক্ষুদ্র কৃষক মোহাম্মদ মুজাবিরের। রেজিস্ট্রেশন আর ভোটার পরিচয়পত্র থাকার পরও এখনও তিনি জানেন তা, ভোটার তালিকায় তার নাম আছে কিনা। ওই তালিকাভূক্তি ছাড়া রবিবার ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে দিল্লির অন্যদের সঙ্গে ভোট দিতে পারবেন না তিনি।
পর্যবেক্ষক সংস্থা মিসিং ভোটারস-এর সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় ১২ কোটি মানুষ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েছে। এদের অনেকেই সংখ্যালঘু মুসলমান বা নিম্নবর্গের দলিত সম্প্রদায়ের। ওই রিপোর্টের লেখকেরা বলেন ‘ধীর কিন্তু স্থির প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংখ্যালঘুদের বঞ্চিত করা হয়েছে আর রাজনৈতিকভাবে বাদ দেওয়া হয়েছে’। ভারতের নির্বাচন কমিশনের এক এক মুখপাত্র সিএনএনকে বলেন, তারা সচেতনতা প্রচারাভিযানের মাধ্যমে নির্বাচনি প্রক্রিয়ায় নিজেদের তালিকাভুক্ত করতে যথেষ্ট সময় দিয়ে নাগরিকদের প্রয়োজনীয় নোটিশ দিয়েছে।
এনএম/এসএইচ/
আরও পড়ুন