ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

আমার থেকে ভয়ঙ্কর কেউ হবে না: মমতা

প্রকাশিত : ০৯:১৭, ১৫ মে ২০১৯ | আপডেট: ০৯:২২, ১৫ মে ২০১৯

ভারতে বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুরের কথা জেনে বিজেপির উদ্দেশে মমতা বলেন, ‘‘ওরা বাংলার হেরিটেজ, বাংলার মনীষীর গায়ে হাত দিয়েছে। আমার থেকে ভয়ঙ্কর কেউ হবে না। তোমাদের ঔদ্ধত্য খর্ব করবই।’’

মমতা মূর্তি ভাঙার অভিযোগ তোলেন বিজেপির বিরুদ্ধে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজে বাঙালি মনীষীর প্রতি এই ‘অবমাননা’র কলঙ্ক মাথায় নিয়ে মমতা বললেন, ‘‘আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।’’

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের নেতৃত্বে মঙ্গলবার শহিদ মিনার থেকে উত্তর কলকাতাগামী মিছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছলে তৃণমূল ও বিজেপির ছাত্রদলের মধ্যে মুখোমুখি সংঘাত বাধে। তার পরই তা বিদ্যাসাগর কলেজ পর্যন্ত ছড়ায় এবং মিছিলকারীরা কলেজে ঢুকে এলোপাথাড়ি ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। চুরমার করে দেওয়া হয় বিদ্যাসাগরের মূর্তিও।

মুখ্যমন্ত্রী তখন দক্ষিণ কলকাতায় নির্বাচনী সভা করছিলেন। বেহালার মঞ্চ থেকেই এ সম্পর্কে মুখ খোলেন তিনি। বলেন, ‘‘বিদ্যাসাগর কলেজে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে। এত বড় লজ্জা কলকাতায় কখনও হয়নি। বিজেপি জেনে রাখ, ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব নেব।’’

 ঘটনার পরই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিদ্যাসাগর কলেজে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পার্থ বলেন, ‘‘লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে গেল। রাজনীতি কোথায় চলে গেল! এরা নাকি দেশপ্রেমী! আমাদের সংস্কৃতি, ইতিহাস নষ্ট করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এরা রাজ্যকে শ্মশানে পরিণত করতে চায়।’’ রাতে কলেজে যান মুখ্যমন্ত্রী নিজেও।

বিজেপির তরফে অবশ্য গোটা ঘটনায় তৃণমূলকেই দায়ী করা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের কর্মীরা ভিতরে ঢোকেনি। কলেজের সব দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। মাঝে পুলিশের ব্যারিকেড ছিল। তৃণমূল কিছু গুন্ডা পোষে। তারাই এ সব করে বিজেপির নামে দোষ চাপাচ্ছে।’’

কংগ্রেস এবং সিপিএমও দু’পক্ষের প্ররোচনার কথা তুলেছে। কংগ্রেস সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘মিছিলে ঢিল ছুড়ে প্ররোচনা দিয়ে বিজেপিকে নিজের চরিত্র ফের পরিস্ফুট করার সুযোগ দেওয়া হল। কলকাতায় যে গুন্ডামি হল সেই পাপের দায় তৃণমূল এবং বিজেপি— দু’দলকেই নিতে হবে।’’

সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘দু’পক্ষের প্ররোচনা ইট-পাটকেল ছোড়া থেকে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে।’’ অপরাধীদের চিহ্নিত করে শাস্তি দেওয়ার জন্য কমিশনের সক্রিয়তা দাবি করেছে সিপিএম।

অমিত শাহ নিজে অবশ্য মূর্তি ভাঙা নিয়ে কিছু বলেননি। বরং তার রোড শো-এর দু’জায়গায় হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘‘আমি তো ভাবতেই পারছি না, বাংলায় গণতন্ত্র কী ভাবে চলছে। আমাদের রোড শো-এর দু’জায়গায় হামলা হয়েছে। বিবেকানন্দের বাড়িতে যেতে পারিনি।’’

তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন চোখ বন্ধ করে বসে আছে। বাংলায় যা ঘটছে তাতে নজর দিচ্ছে না। সংস্থার সম্মান বাঁচাতে হলে সপ্তম দফার আগে সব দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করতে হবে।’’

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি