শপথের আগে গান্ধী ও বাজপেয়ীকে মোদির শ্রদ্ধা
প্রকাশিত : ১৩:০২, ৩০ মে ২০১৯ | আপডেট: ১৩:০৩, ৩০ মে ২০১৯
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পর টানা দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় শপথ গ্রহণ করবেন তিনি। শপথ গ্রহণের পূর্বে ভারতে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ মহাত্মা গান্ধী, সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী এবং সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি।
শপথকে ঘিরে বিভিন্ন কর্মযজ্ঞ চলছে। নেয়া হয়েছে একাধিক কর্মসূচি। এ দিন সকাল ৭টায় রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান মোদি। এরপর যান প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর সমাধিতে। সেখান থেকে যান ইন্ডিয়া গেটের কাছে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে।
অমিত শাহ, রবিশঙ্কর প্রসাদ, মেনকা গান্ধী, স্মৃতি ইরানি, জেপি নাড্ডার মতো বিজেপির উচ্চপর্যায়ের নেতা-মন্ত্রীরাও এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
৮ হাজারেরও বেশি অতিথি আমন্ত্রিত মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে। আমন্ত্রিত বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটান-বিমস্টেকের সব দেশের প্রতিনিধিরা।
বৃহস্পতিবার সকালে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং এবং মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী দিল্লি পৌঁছান। তাদের স্বাগত জানাতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখলে।
রাষ্ট্রপতি ভবনের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় অনুষ্ঠান হতে চলেছে। ভারতের সকল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, বিদেশি রাষ্ট্রনেতা, হবু মন্ত্রী ও তাদের পরিবারের ১০ জন করে সদস্য, নতুন সাংসদদেরও মোদির শপথ অনুষ্ঠানে থাকছেন।
অতিথির তালিকায় আরএসএস নেতা, শিক্ষাবিদ, চিত্রতারকা, শিক্ষা ও ক্রীড়া জগতের বিভিন্ন ব্যক্তিত্বও রয়েছেন।
তবে, বিজেপি নেতা মনোজ তিওয়ারির কটাক্ষের জের ধরে শেষ সময়ে এসে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগদান থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়।
মনোজ তেওয়ারি বলেছিলেন, “মোদির শপথে মমতার আসা উচিত নয়। গণতন্ত্রকে খুন করে যেভাবে তিনি হিংসা প্রতিষ্ঠা করেছেন, তারপর এ রকম একটা অনুষ্ঠানে তিনি নিজের মুখ দেখাবেন কী করে”। তেওয়ারির এমন মন্তব্যে বেঁকে বসেন মমতা।
অপরদিকে, এশিয়াসহ বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের প্রধানরা মোদির শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেও, ডাকা হয়নি পাকিস্তানকে।
গত বছর ইমরান খান ক্ষমতায় এসে ভারতের সাথে সুসম্পর্ক রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কাশ্মির দ্বন্দ্বে সম্পর্কে দূরত্ব বাড়ে। বিশেষ করে পুলওয়ামায় হামলার ঘটনা দু’দেশের জনগণের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে।
এমন অবস্থায় ইমরান খানকে শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালে প্রশ্নের মুখোমুখি পড়তে পারেন মোদি ও তার দল বিজেপি। এ কারণেই ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেদ্র মোদি।
আই//
আরও পড়ুন