রাহুলকে হারিয়ে আলোচনায় স্মৃতি ইরানি
প্রকাশিত : ১৮:১১, ৩০ মে ২০১৯ | আপডেট: ২১:৪৪, ৩০ মে ২০১৯
২০১৪ সালে ভোট গণনার প্রথম দিকে দীর্ঘক্ষণ স্মৃতি ইরানির কাছে পিছিয়ে ছিলেন রাহুল গান্ধী। তবে, শেষ পর্যন্ত সেবার জিতেছিলেন রাহুল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে শেষ রক্ষা হয়নি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর। এবার রাহুল গান্ধী স্মৃতি ইরানির কাছে হারেন ৫৫,০০০ ভোটে। উত্তরপ্রদেশের আমেঠিতে স্মৃতি ইরানি ছিলেন বিজেপি প্রার্থী।
কংগ্রেসের আশঙ্কা সত্যি করে অমেঠী হাতছাড়া হয় গান্ধী পরিবারের। সাবেক মডেল ও টেলিভিশন অভিনেত্রী স্মৃতি ইরানী রাহুল গান্ধীকে হারিয়ে আসেন আলোচনায়। ২০১৪-সালে অল্পের জন্য রাহুলের কাছে হারার পর হাল ছাড়েননি স্মৃতি। এই পাঁচ বছর তার নির্বাচনি আসনে বেশ পরিশ্রম করেন তিনি। সংসদ সদস্য না হয়েও এই কেন্দ্রে নিজেকে তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিয়ে আসেন। এলাকার মানুষের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নেন। তারই ফল দেখা যায় ইভিএমে।
কেরালার ওয়ানাড থেকে রাহুল বিপুল ভোটে জিতলেও বরাবরের গান্ধী পরিবারের শক্ত ঘাঁটি অমেঠীতে তার পরাজয় নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের সম্মান ক্ষুন্ন করেছে। ফল প্রকাশের পরের দিন শনিবার সকালে অমেঠীবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেন স্মৃতি।
১৯৯৮ সালে মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন স্মৃতি ইরানি। পরে অভিনয় ছেড়ে স্মৃতি পুরোপুরি রাজনীতিতে চলে আসেন।
২০০৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। শুরুতে দিল্লির চাঁদনি চক থেকে কংগ্রেসের কপিল সিব্বলের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। তবে জয়লাভ করতে পারেননি। এর পর ২০১৪ সালে উত্তরপ্রদেশের অমেঠীতে রাহুল গাঁধীর কাছেও পরাজিত হন। এ বছর ফের অমেঠী থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তিনি। আর তাতেই গান্ধী পরিবারের আসন বলে পরিচিত অমেঠীকে ছিনিয়ে নিতে সক্ষম হন তিনি।
এনএম/এসএইচ/
আরও পড়ুন