মোদির মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন যারা
প্রকাশিত : ১২:১৮, ৩১ মে ২০১৯ | আপডেট: ১২:৩৮, ৩১ মে ২০১৯
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে মোদির দল বিজেপি জয় লাভ করার পর দলটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা গতকাল (বৃহস্পতিবার) শপথ গ্রহণ করেছে। মোদির সঙ্গে শপথ নিলেন ৫৭ জন মন্ত্রী। যার মধ্যে ২৪ জন শপথ নিলেন পূর্ণ মন্ত্রী হিসাবে। ক্যাবিনেটে এলেন অমিত শাহ। কিন্তু গতবারের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর ঠাঁই হলো না ক্যাবিনেটে।
অসুস্থতার কারণে অরুণ জেটলি মন্ত্রী হতে রাজি হলেন না। গতবারের অর্থমন্ত্রী স্বেচ্ছায় দূরে রইলেন মন্ত্রিত্ব থেকে। প্রথমবারের মোদি মন্ত্রিসভায় কয়েক মাস প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও ছিলেন তিনি।
সুষমা স্বরাজ শারীরিক কারণে ভোটে লড়েননি। তা সত্ত্বেও তাকে রাজ্যসভায় এনে মন্ত্রী করার সম্ভাবনার কথা বলছিলেন অনেকে। রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ অনুষ্ঠানে সুষমা দর্শক আসনে উপস্থিত ছিলেন যদিও। গতবারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবার নেই মোদি ক্যাবিনেটে।
এছাড়া মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন না যারা
মন্ত্রিসভায় জায়গা হলো না উমা ভারতীর। পানিসম্পদ, নদী উন্নয়ন, গঙ্গা সংক্রান্ত উন্নতির মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ছিল উমার ওপরে। পরে পানীয় জল ও ‘স্যানিটেশন’ দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। এ বছরের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেলেন না তিনি।
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হলো না সুরেশ প্রভুর। মোদির সরকারে এক সময়ে রেল, পরে শিল্প ও বাণিজ্য এবং অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ তবে এ বার এই পরিচিত নাম নেই মন্ত্রিসভার নতুন তালিকায়৷
#মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন না মেনকা গান্ধীও। লোকসভা নির্বাচনের সময় কিছু মন্তব্য করে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন নারী ও শিশু কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী৷
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না শিবপ্রতাপ শুক্লের, অর্থ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এবারের মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না জুয়েল ওরাঁওয়ের। গত বার আদিবাসী সংক্রান্ত দফতরের পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন তিনি।
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌরের। প্রাক্তন অলিম্পিয়ান রাঠৌর গত বার মোদির সরকারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিলেন কিছু দিনের জন্য৷
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না অণুপ্রিয়া পটেলেরও। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন অনুপ্রিয়া পটেল৷ ছিটকে গেলেন তিনিও।
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না জে পি নাড্ডার। পরবর্তী বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির পদে জগৎ প্রকাশ নাড্ডার নাম নিয়ে জল্পনা ছিল প্রথম থেকেই৷ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি প্রায় পাঁচ বছর।
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না কে জে আলফন্সের। সংস্কৃতি ও পর্যটন দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি।
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না এস অহলুওয়ালিয়ার। পানীয় জল ও নিকাশি দফতরের দায়িত্বে ছিলেন, পরবর্তীতে ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য প্রযুক্তি দফতরও সামলেছেন। এ বার রাজ্য থেকে বিপুল জয়ে তাঁকে মন্ত্রিসভায় আশা করেছিলেন অনেকেই।
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না রাধামোহন সিংহের। গত বারের মন্ত্রিসভায় কৃষিমন্ত্রকে রাধামোহন সিংহ নামটি ছিল একটি চমক৷ মোদীর দ্বিতীয় বারের মন্ত্রিসভার তালিকা থেকে নাম কাটা গিয়েছে তাঁরও৷
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না চৌধরি বীরেন্দ্র সিংহের। গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত দফতরের মতো মন্ত্রণালয় সামলেছিলেন তিনি প্রায় দু’বছর।
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না বিজয় সাম্পলা-র। সামাজিক ন্যায়বিচার ও ক্ষমতায়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। কিন্তু এ বছরের মন্ত্রিসভায় মিলল না জায়গা।
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না অনন্ত গীতের। শিবসেনা নেতা অনন্ত গীতে সামলেছিলেন ভারী শিল্প ও পাবলিক এন্টারপ্রাইজের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক।
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না সুভাষ ভামরের। প্রতিরক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না জয়ন্ত সিন্হার। প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিন্হার ছেলে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে গত বার থাকলেও এ বার তিনি মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে গেলেন।
#মন্ত্রিসভায় জায়গা হল না জয়ন্ত সিন্হার। প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিন্হার ছেলে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগ লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছেন। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দায়িত্বে গত বার থাকলেও এ বার তিনি মন্ত্রিসভা থেকে ছিটকে গেলেন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার
এমএইচ/
আরও পড়ুন