চাপ নয় সম্মান দিলেই আলোচনা হতে পারে : রুহানি
প্রকাশিত : ২২:৩৬, ২ জুন ২০১৯
যুক্তরাষ্ট্র-ইরান চলমান দ্বন্দ্ব নিরসনে কোন চাপ নয়, যুক্তাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে, সম্মান করতে হবে। তবেই ইরান তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে। শনিবার এক বিবৃতিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি একথা বলেন।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে সরে আসলে দ্বন্দ্ব চুড়ান্ত রুপ নেয়। এমন অবস্থায় প্রতিনিয়ত যুদ্ধের আশঙ্কা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর।
ওয়াশিংটন ইরানের ওপর গতবছরই সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছে এবং মে মাসে নতুন করে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। বিশ্বের দেশগুলোকে ইরানের তেল কেনা বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের হুমকি মোকাবেলায় মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোর ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির সঙ্গে সামরিক সংঘাতে জড়ানোর হুমকি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিটি ততটা জোরালো চুক্তি নয়। তিনি ইরানের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়ে নতুন একটি চুক্তি করতে চান। মার্কিন কয়েকজন কর্মকর্তা ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচনার সম্ভাবনার কথাও বলেছেন।
গত সোমবার ট্রাম্প বলেছিলেন, আমরা ইরানের সরকারের পরিবর্তন চাই না। বর্তমান নেতৃত্বেই ইরানের একটি শ্রেষ্ঠ দেশ হওয়ার সুযোগ আছে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
এমন কথার প্রেক্ষিতে ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেছেন, আমরা যুক্তি মানবো এবং আলোচনাও করব যদি অপরপক্ষ সম্মানজনকভাবে আলোচনার টেবিলে বসে এবং আন্তর্জাতিক নিয়মবিধি মানে। কিন্তু তারা আলোচনার নির্দেশ দিলে তা হবে না।
এদিকে, উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধজাহাজ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আওতায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনি। রোববার তিনি এ মন্তব্য করেন।
আয়াতুল্লাহ খোমেনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে সংঘাত হলে তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ১০০ ডলারের বেশি বাড়তে পারে।
গত মাস থেকে ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করেছে। গত বছর ওয়াশিংটন পরমাণু চুক্তি থেকে বের হয়ে গিয়ে ইরানের ওপর পুনরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এরপর তেহরান বিশ্ব শক্তির বাইরে গিয়ে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণে ফিরে যায়। ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের হুমকির কারণে তারা নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স।
আই/এসএইচ/
আরও পড়ুন